Child Care-Turmeric: ছোটদের জন্য কতটা উপকারী হলুদ? জানুন কী বলছে আয়ুর্বেদ…
Ayurvedic Tips: আয়ুর্বেদ বলছে, হলুদ আপনার শিশুকে পাঁচ ভাবে উপকৃত করতে পারে। তবে নবজাতক শিশুকে কোনও ভাবেই হলুদ দেওয়া যাবে না।
হলুদ (Turmeric) হচ্ছে এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা স্বাস্থ্য ও রূপচর্চায় ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়। আয়ুর্বেদেও (Ayurvedic Tips) এই উপাদানের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা রয়েছে। এক গ্লাস গরম হলুদ দুধ (Golden Milk) সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দিতে পারে। অন্যদিকে, রূপটানে মিশিয়ে নিন এক চিমটে হলুদ। পেয়ে যাবেন নিখুঁত ত্বক। কিন্তু এটা গেল প্রাপ্তবয়স্কদের হলুদের ব্যবহার। যদি ছোটদের প্রসঙ্গ আসে, তাহলেও কি একই ভাবে হলুদ ব্যবহার করা যায়? সর্বোপরি, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হলুদ ব্যবহার করা কি নিরাপদ? এর কি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে? মা-বাবা হিসাবে সন্তানের সুরক্ষার জন্য আপনার এই বিষয়গুলো জানা জরুরি।
হলুদ হচ্ছে এমন একটি উপাদান যা বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ভাবে ব্যবহার করা যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও কম হয়। তাই বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হলুদ ব্যবহারের পদ্ধতিও আলাদা। ৮ মাসের পর থেকে আপনি শিশুদের হলুদের তৈরি খাবার খাওয়াতে পারেন। তবে অবশ্যই অল্প পরিমাণে। নবজাতক শিশুকে কোনও ভাবেই হলুদ দেওয়া যাবে না।
আয়ুর্বেদ বলছে, হলুদ আপনার শিশুকে পাঁচ ভাবে উপকৃত করতে পারে। যেহেতু বাচ্চাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম, তাই তারা অল্পতেই ভাইরাল ফ্লু, জ্বর, সর্দির শিকার হয়। পরের বার এমন হলে আপনি হলুদের সাহায্য নিতে পারেন। হলুদ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে আর্থ্রাইটিসের প্রদাহ যেমন হ্রাস করে, তেমনই বাচ্চাদের মধ্যে আস্থামার সমস্যাকে নিরাময় করে।
হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অ্যালার্জিক উপাদান রয়েছে, যা আস্থমায় আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে। এর জন্য আপনি আপনার শিশুকে এক কাপ গরম দুধে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করান। দিনে একবারই এই পানীয় পান করা যথেষ্ট। এটি জমে থাকা মিউকাস এবং বুকে জমে থাকা কফ অপসারণ করে। এতে আপনার সন্তানের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে কোনও সমস্যা হয় না। আর হলুদ দুধ শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়, এ কথা বলাবাহুল্য।
আপনার সন্তানের যদি ত্বকের কোনও সমস্যা থাকে, ঘন ঘন যদি ত্বকের সংক্রমণ হয় তাহলে নিয়মিত মধুর সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ান। এতে ত্বকের সংক্রান্ত সংক্রমণ দূর হয়ে যাবে। অন্যদিকে, এই মিশ্রণ বাচ্চাদের মধ্যে ফাঙ্গাল সংক্রমণের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে শিশুরা নিয়মিত হলুদ সেবন করে, তাদের মধ্যে মস্তিষ্কের বিকাশ খুব ভাল হয়।
অনেক বাচ্চাদের মধ্যে গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। এই ক্ষেত্রে ঘিয়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ান। এছাড়াও গরম জলে এক চিমটে হলুদ দিয়ে ভেপার নিন। এতেও শরীরের একাধিক সমস্যা কমিয়ে আনবে। নাক পরিষ্কার করে দেবে।
আরও পড়ুন: মালবেরি খাওয়ার জন্য এই তিনটি কারণই যথেষ্ট! পরামর্শ পুষ্টিবিদের