Wheatgrass Benefits: গম ঘাস খাওয়া ঠিক কতটা স্বাস্থ্যকর? বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এটা ক্ষতিকরও হতে পারে…
ছোট অবস্থায় গম গাছকে সাধারণত গম ঘাস বলা হয়, কারণ সেগুলি তখন ঘাসের মতই দেখতে হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম।
ট্রাইটিকাম নামক উদ্ভিদ থেকে হুইট গ্রাস বা গম ঘাস তৈরি হয়। গম গাছকে ছোট অবস্থায় কেটে যদি তার রস বা জুস বানিয়ে নিয়মিত পান করেন তাহলে দূর হয়ে যাবে অনেক রোগই। ছোট অবস্থায় গম গাছকে সাধারণত গম ঘাস বলা হয়, কারণ সেগুলি তখন ঘাসের মতই দেখতে হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম। গম ঘাস খাওয়ার স্বাভাবিক উপায় হল তাজা রসের আকারে খাওয়া। কিন্তু আজকাল এটি পাউডার আকারেও পাওয়া যায়। আপনি এটি আপনার প্রোটিন শেকেও যোগ করতে পারেন।
এটি প্রতিদিন খেলে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এটি কিছু নির্দিষ্ট রোগ নিরাময় করে। এরা থেরাপিউটিক সুবিধাতে ঠাসা থাকে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
গম ঘাসের স্বাস্থ্য উপকারিতা কী?
বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর বৈশিষ্ট্যে ঠাসা:
হুইটগ্রাস হজম করা কঠিন কিন্তু এর অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এর পুষ্টিগত দিকই এটিকে অত্যন্ত উপকারী এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, সি, ই, কে এবং বি কমপ্লেক্স, প্রোটিন, এনজাইমের সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি মতো স্বাস্থ্য উপাদান থাকে হুইটগ্রাসে। থেরাপিউটিক সুবিধাগুলির উপস্থিতির পাশাপাশি একে সম্পূর্ণ পুষ্টি হিসাবেও ধরা হয়ে থাকে।
হজমে সাহায্য করে:
হুইটগ্রাস এনজাইম দিয়ে ভরা থাকে এবং এটি জটিল খাদ্যকে সহজ খাদ্যে ভেঙ্গে পুষ্টি গ্রহণ করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ আর স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। আমাদের অন্ত্র পরিষ্কার করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এভাবেই এটি স্থূলতা, গ্যাস এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
টক্সিনের উপস্থিতি কমায়:
হুইটগ্রাসের মধ্যে ক্লোরোফিল রয়েছে এবং এটি আমাদের শরীরের ক্ষতিকারক উপাদানগুলিকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের লিভারের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
হুইটগ্রাসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী কী?
হুইটগ্রাস শুধুমাত্র একটি বিশ্বস্ত এবং ভরসাযোগ্য দোকান থেকেই কেনা উচিত। একে সব সময় পরিষ্কার জায়গায় রাখা দরকার। হুইটগ্রাস যদি আপনি প্রথমবার খাওয়া শুরু করেন, তাহলে ছোট ডোজ দিয়ে শুরু করুন। ধীরে ধীরে ডোজ বাড়ানো দরকারি। এতে আপনার শরীর সহজেই হুইটগ্রাস হজম করতে পারবে। অন্যান্য সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট খারাপ এবং জ্বর। গর্ভাবস্থা বা সদ্যজাতকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মায়েদের এটি এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারো যদি এলার্জি থেকে থাকে তাঁরাও যদি এটা না খান, তাহলেই ভাল হয়। সেক্ষেত্রে, এটি তাদের রক্তের বিভিন্ন সমস্যা, সিলিয়াক রোগ বা গ্লুটেনের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারী কিছু তুলতে গেলে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে? ওবেসিটির কবলে পড়লেন না তো!
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ, মাখনা ও আরও কিছু ঘরোয়া টোটকায় ঠিক হবে অনিদ্রার সমস্যা!