Athlete’s foot: বর্ষার জল লাগা মাত্রই পায়ে চুলকানি ও ফোসকা পড়ে? ভয়ঙ্কর অসুখে আক্রান্ত নয় তো?

Skin Infection: ছত্রাক বা ফ্যাঙ্গাস সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় জন্মায়। এই কারণে যাদের পা বেশিরভাগ সময়ে ভিজে থাকে তাদের পায়ে ছত্রাক জন্মানোর আশঙ্কা বেশি থাকে। সাধারণ অয়েনমেন্ট দিলে সমস্যা কমে বটে, তবে অসুখ পুনরায় ফিরতে পারে। নিরাময়ের জন্য কী করবেন?

Athlete’s foot: বর্ষার জল লাগা মাত্রই পায়ে চুলকানি ও ফোসকা পড়ে? ভয়ঙ্কর অসুখে  আক্রান্ত নয় তো?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2022 | 7:17 AM

করোনার (COVID 19) বাড়বাড়ন্তের সময়, অনেকেই ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাসের সংক্রমণ বা মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছিল। অথচ জানলে অবাক হবেন আমাদের শরীরে আরও একধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ (Skin Infection )ঘটতে পারে। আর তার প্রভাবও মারাত্মক। ছত্রাকঘটিত অসুখটির চলতি নাম ‘অ্যাথলেট ফুট’ (Athlete’s Foot)। এই অসুখ আসলে একধরনের ত্বকের সংক্রমণ। মূলত পায়ে এই ধরনের ছত্রাক সংক্রমণ (Fungus) ঘটার আশঙ্কা থেকে যায়। মুশকিল হল সময়ে চিকিৎসা না হলে পা থেকে শুরু হলেও ছত্রাক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে নখ ও এবং আঙুলেও! মূলত টিনিয়া নামে ছত্রাকের কারণেই এই সংক্রমণ ঘটে। ছত্রাকটি অত্যন্ত সংক্রামক। ফলে অ্যাথলেট ফুটে আক্রান্ত একজন ব্যক্তির স্পংস্পর্শে এলে অন্য সুস্থ মানুষও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এমনকী ছত্রাক রয়েছে এমন কোনও তল বা সারফেস স্পর্শ করলেও হতে পারে অ্যাথলেট ফুট!

আমরা সবাই জানি, সাধারণত আর্দ্র এবং স্যাঁতস্যাঁতে জায়াগায় বৃদ্ধি পায় ছত্রাক। এই কারণে, যে সমস্ত ব্যক্তির পা বারবার ঘামে, তাঁরাই এই ছত্রাকের সহজ শিকার হয়ে যায়। অয়েনমেন্ট-এর ব্যবহারে উপসর্গ কমে বটে, তবে পুনরায় রোগ ফিরে আসার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিশেষ করে সকল ব্যক্তি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাঁদের এই রোগে ভোগার আশঙ্কা বেশি থাকে।

রোগের লক্ষণ—

• পায়ের ত্বকে চুলকানি এবং জ্বালাবোধ।

• পায়ে ফোসকা পড়ার মতো উপসর্গও দেখা যায়।

• নখের রং বিবর্ণ হয়ে যাওয়া। নখ ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।

• পায়ের তলা এবং গোড়ালি ফেটে যায়।

• পায়ের তলার ত্বক শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে যায়।

এমন অবস্থার কারণ কী?

• স্যুইমিং পুল, লকার রুম, পুকুর পাড়, নোংরা বাথরুমের মতো স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় খালি পায়ে হাঁটলে ও সেখানে টিনিয়া ছত্রাক উপস্থিত থাকলে সেখানে থেকে ঘটতে পারে সংক্রমণ।

• অ্যাথলেট ফুট আছে এমন ব্যক্তির তোয়ালে, গামছা, পোশাক, মোজা ব্যবহার করলেও সংক্রমণের অতি উচ্চ পর্যায়ের আশঙ্কা।

সতর্কতা

• প্রতিদিন ভালোভাবে পা ধুয়ে ফেলা উচিত। উষ্ণ জল দিয়ে পা ধোয়া উচিত। তাবে হ্যাঁ পা ধোয়ার পর শুকনো কাপড় দিয়ে পা মুছতে হবে আর পায়ে জল লেগে থাকলে চলবে না।

• জুতো পরার আগে দেখে নিন তা শুকনো কি না। অনেকসময় আমরা ঘামে বা বৃষ্টিতে ভেজা জুতো পরেই সারাদিন কাটাই। এমন অবস্থায় সংক্রমণের আশঙ্কা যেমন বাড়ে তেমনই অসুখের বৃদ্ধি ঘটে।

• পা ঢাকা জুতো ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এমন জুতো পরুন যে জুতোয় বাতাস চলাচল ভালো হয়। ফিতে দেওয়া দেওয়া জুতো ব্যবহার করতে পারেন।

• প্রতিদিন আলাদা আলাদা মোজা ব্যবহার করুন। এছাড়া কাচা মোজা পরুন। পরিষ্কার এবং নতুন মোজা পরলে এই ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে।