Women Health: ঘুমের অভাব মহিলাদের মধ্যে বাড়িয়ে তুলতে পারে হাড়ের সমস্যা! নতুন তথ্য প্রকাশ গবেষণায়

মহিলাদের খুব কম ঘুম বা ঘুমের অভাব অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অর্থাৎ মহিলাদের হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। এতে হাড় দুর্বল হয়ে ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

Women Health: ঘুমের অভাব মহিলাদের মধ্যে বাড়িয়ে তুলতে পারে হাড়ের সমস্যা! নতুন তথ্য প্রকাশ গবেষণায়
পুরুষদের তুলনায় মহিলারা অস্টিওপরোসিসে বেশি আক্রান্ত হন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2022 | 1:51 PM

মহিলাদের (Women Health) খুব কম ঘুম বা ঘুমের অভাব (Lack of Sleep) অস্টিওপরোসিসের (Osteoporosis) ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অর্থাৎ মহিলাদের হাড়ের ঘনত্ব (BMD) কমতে থাকে। এতে হাড় দুর্বল হয়ে ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। জয়েন্টগুলোতে ক্রমাগত ব্যথা হয়। এছাড়া রক্তে ইস্ট্রোজেনের (Estrogen) অভাব দেখা দেয়। পুরুষদের তুলনায় মহিলারা অস্টিওপরোসিসে বেশি আক্রান্ত হন।

নবভারত টাইমসের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ বাফেলো এবং গবেষণার প্রধান লেখক হিদার ওকস-ব্যালকম এই বিষয়ে জানিয়েছেন, যে ঘুমের অভাব হাড়ের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাব স্বাস্থ্যেরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই গবেষণা ১১,০৮৪ জন পোস্টমেনোপজাল মহিলার মধ্যে করা হয়েছিল। যে মহিলারা প্রতি রাতে ৫ ঘন্টা বা তার কম ঘুমানোর রিপোর্ট করেছেন তাদের সঙ্গে এমন মহিলাদের তুলনা করা হয়েছে যারা প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমায়।

এরপরে তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছিল, যেখানে কম ঘুমের মহিলারা চারটি সাইটে কম বিএমডি দেখা গেছে। এর মধ্যে পুরো শরীর, নিতম্ব, ঘাড় এবং মেরুদণ্ড অন্তর্ভুক্ত ছিল। যে মহিলারা প্রতিদিন ৫ ঘন্টা বা তার কম ঘুমান তাদের কম হাড়ের ভর এবং ঘনত্ব এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি ২২% এবং ৬৩% ছিল। মেরুদণ্ডের সঙ্গে অনুরূপ ফলাফল পরিলক্ষিত করা গেছে। প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।

বেশি রাত জেগে থাকা এবং প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুমের কারণে মানুষের মধ্যে মানসিক রোগ দ্রুত বাড়ছে। নিউ হেলথ অ্যাডভাইজর-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ১৮ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের প্রতি রাতে গভীর ঘুম হওয়া উচিত, যা তাদের মোট ঘুমের প্রায় ২০%। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অন্তত ২ ঘণ্টা গভীর ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে আমাদের শরীর এক ধরনের যন্ত্র, যার জন্য একটানা কাজ করা সম্ভব নয়। ঘুমের মাধ্যমে শরীরের পেশী রিচার্জ হয়।

নেচার হিউম্যান বিহেভিয়ার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, গভীর ঘুম আপনাকে সব ধরনের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দিতে খুবই কার্যকর। গবেষণা অনুসারে, আপনি যদি রাতে সঠিকভাবে ঘুমাতে না পারেন, তাহলে আপনার মানসিক চাপের সমস্যা ৩০% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। আপনি যত গভীর ঘুমাবেন, আপনার মস্তিষ্ক তত সুস্থ থাকবে। এই গবেষণাটি লিখেছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান (নিউরোসায়েন্স) বিভাগের অধ্যাপক ম্যাথিউ ওয়াকার।

‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাতে গভীর ঘুম দিনের বেলায় অপ্রয়োজনীয় জিনিস ও ঘটনা ভুলে যেতে সাহায্য করে। যেসব জিনিস মস্তিষ্কের জন্য অকেজো, ঘুমের সময় মস্তিষ্ক সেগুলো দূর করে দেয়। পরের দিন ঘুম থেকে ওঠার পরে, আপনার কাছে কেবল সেই তথ্য এবং জিনিসগুলি অবশিষ্ট থাকে যা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: অপরাজিতা ফুলের চা এখন বিশ্ববিখ্যাত! ওজন ও স্ট্রেস কমাতে এই নীল চায়ের রয়েছে ‘বিশেষ’ গুণ