World Health Day: সুস্থ থাকতে এবং হার্ট ভাল রাখতে কী কী পরিবর্তন আনবেন? জেনে নিন…
Healthy Life: সুন্দর এবং সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে হলে আমাদের রোজকার জীবনযাত্রায় আনতে হবে পরিবর্তন। ফাস্ট ফুড, ধূমপান, মদ্যপান থেকে যেমন দূরে থাকতে হবে তেমনই কিন্তু অতিরিক্ত স্ট্রেসও চলবে না
দূষণ, মহামারী সব মিলিয়ে পৃথিবী আজ বিপর্যস্ত। বিজ্ঞান যত বেশি উন্নত হয়েছে জীবনযাত্রা কিন্তু ততই জটিল হয়েছে। কোভিড এখনও যায়নি। তারমধ্যে হৃদরোগ, ক্যানসার, ডায়াবিটিস, ট্রাইগ্লিসারাইড, ফ্যাটি লিভার এসব সমস্যাতো লেগেই রয়েছে। পরিবেশের প্রভাবও কিন্তু রয়েছে এর মধ্যে। আর তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের মধ্যে মেলবন্ধনের। অধিকাংশ রোগের কারণ কিন্তু আমাদের জীবনযাত্রা। অত্যধিক তেল-মশলাদার খাবার খাওয়া, ফাস্ট ফুড খাওয়া, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা, দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ- এইসবই কিন্তু প্রভাব ফেলছে রোজকার জীবনে। মদ্যপান, ধূমপানের সংখ্যাও কিন্তু এখন অনেক বেড়েছে। এবং সেই দলে ভারী কিন্তু মেয়েরাই। এশিয়ান হার্ট ইন্সটিটিউট মুম্বই-এর সিনিয়র ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট চিকিৎক তিলক সুবর্ণ যেমন জানিয়েছেন, হার্ট ভাল রাখতে এবং দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে কিন্তু রোজকার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতেই হবে। তবেই কিন্তু সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে থাকুন- স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে জোর দিন। হাতের সামনে যে সব খাবার পাচ্ছেন, বাড়ির পাশে যে সবজি-ফল পাওয়া যাচ্ছে তাই খান। অহেতুক দাম বেশি দিয়ে বিদেশি সবজি, ফল কিনে খাবেন না। লোকাল যে সব সবজি পাওয়া যায় তাতেই কিন্তু পুষ্টি ভরপুর। তেঁতুল, ডুমুর, মোচা, থোড়, বিভিন্ন রকম শাক এই সব বেশি পরিমাণে খান। চিপসের প্যাকেট, চানাচুর, এসব বাড়ি থেকে আজই ফেলে দিন। চায়ের সঙ্গে ভুজিয়া খাবার অভ্যাস থাকলে সেই অভ্যাস এখনই বদলে ফেলুন। চিনি ছাড়া চা খান। রান্নায় মিষ্টিও খাবেন না। যে খাবার যত বেশি মুখরোচক সেই খাবার কিন্তু শরীরের জন্য ততখানিই বাজে।
বাড়িতেই স্ন্যাকস বানিয়ে খান- অতিরিক্ত তেলেভাজা, ফ্রায়েড খাবার না খেয়ে মুখরোচক কিছু স্ন্যাকস বানিয়ে নিন বাড়িতেই। ছোলা সিদ্ধ , মটর সিদ্ধ করে শসা, পেঁয়াজ কুচি, লেবুর রস ইত্যাদি দিয়ে খেতে পারেন। সেই সঙ্গে গোটা শস্য খান। পাঁপড় সেঁকে চাট বানিয়েও খেতে পারেন। প্রতিদিন কত ক্যালোরির খাবার খাচ্ছেন সেদিকেও নজর দিন।
ফল খান- রোজ নিয়ম মেনে গোটা শস্য, ফল এসব কিন্তু অবশ্যই খাবেন। সপ্তাহে দু দিন মাছ খান। ডিম সিদ্ধ করে খান। সেই সঙ্গে বাদাম, বিভিন্ন শুকনো ফল এসবও কিন্তু খাবেন। সবজির মধ্যে গাজর, ব্রকোলি, ক্যাপসিকাম, টমেটো এসব কিন্তু অবশ্যই রাখবেন।
অতিরিক্ত নুন খাবেন না। নুন বেশি খেলেই সেখান থেকে আসে একাধিক সমস্যা। রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই নুন খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। এছাড়াও নুন বেশি খেলে শরীরে জবের পরিমাণ বেড়ে যায়। যেখান থেকে আসে হার্ট অ্যার্টকের সম্ভাবনাও।
যে কোনও রকম মেশা, তামাক, মদ্যপান, ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। এতে শরীরের ক্ষতির পাশাপাশি একাধিক সমস্যা আসে। হার্ট অ্যার্টাকের মত সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। আর তাই এ ব্যাপারে প্রথম থেকেই সচেতন থাকতে হবে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত চাপ নেওয়া চলবে না। এতে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না, বরং অসুবিধে বাড়ে একাধিক।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।