Weight Loss Tips: ওজন কমাতে গিয়ে কম খাবার খাওয়ার মতো ভুল করবেন না, তাহলেই শুরু হবে সমস্যা…
ওজন ধীরে ধীরে কমান। ক্র্যাশ ডায়েট ছাড়লেই কিন্তু ওজন বেড়ে যায়। তাই সেই পথে ভুলেও হাঁটবেন না। শুধু কম খেলেই কিন্তু রোগা হবেন না। মনে রাখবেন ওজন কমানোর জন্য ৭০ শতাংশ ডায়েট ও ৩০ শতাংশ এক্সারসাইজের ভূমিকা আছে।
ওজন কমানোর কথা ভাবতে গিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন কম খাবার খাওয়ার কথা। কম খাওয়ার খেলে প্রাথমিকভাবে মনে হতেই পারে যে ওজন কমছে কিছু, লং টার্মে আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। মিনারেলস, ভিটামিনস, প্রোটিন সঠিকভাবে শরীরে প্রবেশ না করলে চুল পড়ে যাওয়া, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে দুর্বলতা, অনিদ্রার মতো নানা ধরনের রোগ দেখা যায়। তাই কম খেয়ে রোগা হওয়ার পরিকল্পনা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখাই ভাল।
সবসময় চেষ্টা করুন ভাল কোনও ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলে ডায়েট চার্ট তৈরি করতে। যে আপনার শরীরের আকার আর আয়তন বুঝে আপনার প্রাত্যহিক রুটিন অনুসারে ডায়েট তৈরি করে দেবে। ইন্টারনেটে পাওয়া যে কোনও ডায়েট চার্ট দেখে নিয়ে রোগা হওয়ার চেষ্টা না করাই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
কাজের চাপে অনেকেই সকালের জল খাবার দেরি করে খান। এমনকি আমাদের মধ্যে অনেকেই জলখাবার স্কিপ করে যাওয়ার কথাও ভেবে থাকেন। তবে মাথায় রাখবেন, ব্রেকফাস্ট দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। রাতের খাওয়ার পর প্রায় ১০-১১ ঘণ্টা আমাদের শরীরে কোনও খাবার যায় না। তাই সকালের জলখাবার সব সময় ভারি রাখুন। সেই তুলনায় লাঞ্চ বা ডিনার হালকা করতে পারেন।
লিকুইড ডায়েট, কেটো ডায়েট, জিএম ডায়েটের মতো বাজার চলতি ডায়েট করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডায়েট শুরুর পরেই যদি দেখেন বেশি করে গ্যাস, অম্বল হচ্ছে বা খুব ক্লান্ত বোধ করছেন তাহলেও কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অনেকেই ভাবেন ডায়েট থেকে ফ্যাট জাতীয় খাবার একেবারে বাদ দিয়ে দিলেই রোগা হওয়ার রাস্তা প্রসস্ত হবে। তবে, শরীরের জন্য ফ্যাটও প্রয়োজনীয়। তাই ডিমের কুসুম, সামুদ্রিক মাছ রাখুন ডায়েটে। এগুলো শরীরকে উপকারি ফ্যাটের যোগান দেয়।
ওজন ধীরে ধীরে কমান। ক্র্যাশ ডায়েট ছাড়লেই কিন্তু ওজন বেড়ে যায়। তাই সেই পথে ভুলেও হাঁটবেন না। শুধু কম খেলেই কিন্তু রোগা হবেন না। মনে রাখবেন ওজন কমানোর জন্য ৭০ শতাংশ ডায়েট ও ৩০ শতাংশ এক্সারসাইজের ভূমিকা আছে। আর পাশাপাশি শরীরচর্চা আপনার বডিকে টোনড করে। তাই, খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ব্যায়াম করা অত্যন্ত জরুরি। ব্যায়াম না করলে অতিরিক্ত মেদ ঝরানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে, প্রতিদিন অন্তত ১৫ থেকে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা প্রয়োজন।