কিডনি ভাল রাখতে মেনে চলুন এই নয়টি নিয়ম

যাঁদের হাই প্রেশারের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের কিডনি দ্রুত খারাপ হতে পারে। তাই নিয়মিত প্রেশার চেক করান।

কিডনি ভাল রাখতে মেনে চলুন এই নয়টি নিয়ম
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 21, 2021 | 12:53 PM

কিডনি বিকল হয়ে পড়লে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের। এমনকি কিডনির জটিল সমস্যার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই সময় থাকতেই শরীরের প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।

কিডনি ভাল রাখতে কী করবেন, কী করবেন না

১। মুঠো মুঠো ওষুধ বিশেষ করে পেনকিলার বা ব্যথার ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন। এর জেরে কিডনি বিকল হতে পারে। কিংবা দেখা দিতে পারে কিডনির ক্রনিক অসুখ। তাই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের নিয়ম কানুন মেনে চলুন। বা প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের ছোটখাটো সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করুন। অল্পেতেই ওষুধ খেতে যাবেন না।

২। ব্লাড সুগারের মাত্রা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আসলে মানবশরীরে একটা ছাকনির মতো কাজ করে কিডনি। সমস্ত দূষিত পদার্থ ছেঁকে নেয়। যদি কারও ব্লাড সুগারের মাত্রা অত্যধিক হয়, তাহলে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর জেরে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন রোগ। দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে এই প্রভাবে। ফলে নিয়মিত সুগার চেক করান। প্রয়োজনে কড়া নিয়মের মধ্যে থাকুন।

৩। নিজের শরীর আর্দ্র রাখুন। অর্থাৎ পরিমিত জল খান। কম জল খাওয়া হলে কিডনিতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। দিনে আট থেকে ১০ গ্লাস জল খাওয়া অভ্যাস করুন। এর ফলে ক্ষতিকর দূষিত পদার্থগুলো কিডনি থেকে বেরিয়ে যাবে। ফলে কিডনি সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।

৪। অতিরিক্ত মেদ কিডনির পক্ষে ক্ষতিকর। তাই সঠিক ওজন বজায় রাখার দিকে নজর দিন। প্রয়োজনে যোগাসন কিংবা ফ্রি-হ্যান্ড একসারসাইজ বা জিম করে অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলুন। খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও হ্রাস টানা প্রয়োজন। তবে খেয়াল রাখবেন, ডায়েট করতে গিয়ে যেন অপুষ্টি না হয়।

৫। অতিরিক্ত ধূমপান এবং মদ্যপান এমনিতেই শরীরের জন্য খারাপ। এর ফলে কিডনি বিকল হতে পারে। কিংবা একেবারে বিকল না হলেও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে। তাই ধূমপান এবং মদ্যপান যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

৬। যাঁদের হাই প্রেশারের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের কিডনি দ্রুত খারাপ হতে পারে। তাই নিয়মিত প্রেশার চেক করান। প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নিন অতি অবশ্যই।

৭। খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও নজর দিন। অস্বাস্থ্যকর খাবার, বিশেষ করে তৈলাক্ত, ভাজাভুজি জাতীয় খাবার কিংবা ফাস্টফুড কিডনির পক্ষে ভাল নয়। যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা কম সোডিয়াম যুক্ত খাবার খেলেই ভাল।

৮। প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন। এর ফলে শরীর থাকবে ঝরেঝরে। জিমের তুলনায় যোগাসনের অভ্যাস করলেই ভাল। সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন যোগাসন অভ্যাস করুন।

৯। রুটিন চেকআপ করানোর ক্ষেত্রে গাফিলতি না করাই মঙ্গল। অন্তত প্রেশার, সুগার এগুলো নিয়ম করেই চেক করান। বছরে অন্তত দু’ থেকে তিনবার চেকআপ করালে শরীরের খুঁটিনাটি সমস্যা আপনার নখদর্পণে থাকবে। ফলে সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন আপনি।