প্রাণঘাতী মিউকরমাইকোসিস থেকে বাঁচতে মেনে চলুন ‘ওরাল হাইজিন’! রইল কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কোভিড ১৯ –এ আক্রান্ত বহু রোগীকে রাখতে হচ্ছে আইসিইউ’তে। দিতে হচ্ছে অক্সিজেন! শুকনো অক্সিজেন রোগীকে দেওয়া যায় না। সাহায্য নিতে হয় হিউমিডিফায়ার।

প্রাণঘাতী মিউকরমাইকোসিস থেকে বাঁচতে মেনে চলুন 'ওরাল হাইজিন'! রইল কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
মুখগহ্বর সংক্রান্ত কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এড়ানো যেতে পারে ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাসের সংক্রমণ
Follow Us:
| Updated on: May 31, 2021 | 7:57 PM

কোভিড (Covid) থেকে সেরে ওঠার পরেও অনেকের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাসের প্রকোপ। হচ্ছে মিউকরমাইকোসিস অসুখ। জানলে অবাক হবেন, এই বিরল ধরনের অসুখে ভোগার মূল কারণগুলি হল, দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, একটানা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড ব্যবহার এবং রোজকার কিছু কুঅভ্যেস। বিশেষ করে ওরাল হাইজিন (oral hygiene) বা মুখগহ্বর জীবাণুমুক্ত রাখার স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণেই সহজেই বাসা বাঁধার সুযোগ পায় ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাস। অথচ এই অসেচতেনতার কারণে হতে পারে মৃত্যু!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে হিউমিডিফায়ারের ব্যবহার! কারণ সেক্ষেত্রে বাড়ছে আর্দ্রতা। আর আর্দ্রতার কারণে সংক্রমণের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণে অক্সিজেন থেরাপিতে স্টেরাইল ওয়াটার বা জীবাণুমক্ত জল ব্যবহার করার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দুর্বল রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতা, মাত্রাতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসও রোগীর মধ্যে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।

মিউকরমাইকোসিস অসুখের লক্ষণগুলি হল (mucormycosis symptoms)—

– জিভ, মাড়ি ও মুখগহ্বরের কোষের বিবর্ণ হয়ে যাওয়া। – নাক দিয়ে জল ঝরা ও নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া। – গায়ে হাতে পায়ে তীব্র ব্যথা। – মুখ ফুলে থাকা। – চোখের পিছনে ভারী বোধ হওয়া। – অস্বস্তি। – জ্বর এবং মাথাব্যথা।

আরও পড়ুন: ইমিউনিটি বাড়াতে জিঙ্ক ক্যাপসুল খাচ্ছেন! এই ৫ খাবার খেলেই জিঙ্কের ঘাটতি মিটবে দ্রুত

চিকিৎসকরা বলছেন, এক্ষেত্রে মুখগহ্বর সংক্রান্ত কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এড়ানো যেতে পারে ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাসের সংক্রমণ

  1.  কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরেও বহু রোগীকে একটানা স্টেরয়েড এবং ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। এই অভ্যেস সাইনাস, ফুসফুস, ব্রেনে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এই ধরনের সংক্রমণ এড়াতে প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত অন্তত পক্ষে দিনে দু’বার ব্রাশ করা দরকার।
  2. কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন এমন ব্যক্তির উচিত নিয়মিত ব্রাশ ও জিভছোলা সুচারুভাবে পরিষ্কার করা। ব্রাশ ও জিভছোলা পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ। পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে সদ্য করোনাজয়ী ব্যক্তির ব্যবহার্য ব্রাশ ও জিভছোলা বেশ কয়েকদিন আলাদা রাখতে হবে।
  3. কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসার সঙ্গে সঙ্গে দাঁত মাজার ব্রাশ পরিবর্তন করুন। খাবার খাওয়ার পরে নিয়মিত ভালো করে কুলকুচি করুন।
  4. নেগেটিভ রিপোর্টের জন্য পরীক্ষা না করালে অন্তত দিন পনেরো পরেই ব্রাশ পরিবর্তন করুন।