Coronavirus: কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরও হতে পারে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা!
COVID Infection: কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের শরীরেই কিন্তু দেখা দিচ্ছে একাধিক সমস্যা। বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিশেষত মেয়েরা রক্ত জমাট বাঁধার মত সমস্যায় ভুগছেন
সম্প্রতি সুইডেনে নতুন একটি গবেষণা প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে কোভিড সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর তিন-চার মাস পর্যন্ত রয়ে যায় ভেইন থ্রম্বোসিসের ঝুঁকি। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যাঁদের মধ্যে কোনও রকম কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদেরই কিন্তু কোভিডে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি সবচাইতে বেশি। এবং সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার ছ’মাস পর্যন্ত থেকে যায় এই থ্রম্বোসিসের সম্ভাবনা। প্রথম এবং দ্বিতীয় তরঙ্গে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। বরং তৃতীয় তরঙ্গে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক ঝুঁকি তুলনায় কম।
সুইডেনের উমিয়া ইউনিভার্সিটির ক্লিনিকাল মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অ্যান-মারি ফরস কনলির নেতৃত্বে এই গবেষণাটি ১,০৫৭,১৭৪ জনের উপর করা হয়েছিল। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ থেকে ২৫ মে ২০২১- সময় সীমার মধ্যে এঁরা সকলেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। এঁদের সকলেরই কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ ছিল। সেরে ওঠার পর দেখা গিয়েছে ১-৯০ দিনের মধ্যে অনেকেই এই থ্রম্বোসিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর সেখানে পুরুষদের তুলনায় কিন্তু মহিলারা এক্ষেত্রে অনেক বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের বয়স ছিল ৫০-৭০ এর মধ্যে। তৃতীয় তরঙ্গেও বিশেষ সমস্যা না হলেও অনেকের ক্ষেত্রে কিন্তু রক্তপাতের মত ঘটনা হয়েছে।
ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের সমস্যা কিন্তু মূলত পায়ে হয়। শরীরের এক বা একাধিক শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মত ঘটনাকে থ্রম্বোসিস বলা হয়। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা, নড়াচড়া না করা এসব থেকেই কিন্তু থ্রম্বোসিসের সমস্যা আসে। এছাড়াও থ্রম্বোসিসের লক্ষণ হল পায়ে ফোলা ভাব, সেই সঙ্গে ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া, পায়ে ব্যথা এবং যে জায়গা ফুলে থাকছে সেই অংশে ব্যথাও হয়। আক্রান্ত অংশটির উষ্ণতাও বেশি থাকে।
পালমোনারি এমবোলিজম হল ফুসফুসের পালমোনারি ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া। ফুসফুসের ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে গেলে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, কাশির সমস্যা হয়। এছাড়াও অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা, জ্বর, পায়ে ব্যথা, পা ফোলা এসব সমস্যাও আসতে পারে। তাই কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরও নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে ও পরামর্শে থাকুন। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় কিছু রক্তপরীক্ষাও কিন্তু অবশ্যই করাবেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: COVID Vaccine: দেশে অনুমোদিত ৯টি কোভিড ভ্যাকসিনের মধ্যে এই ৩টির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি, কেন জানেন…