HPV Vaccine: কেটে গিয়েছে ২ বছর! এখনও সার্ভাইক্যাল ক্যানসারের টিকা উত্‍পাদনই শুরু করেনি সিরাম

Serum Institute: এই প্রতিষেধকের দাম মোটামুটি ২০০ থেকে ৪০০টাকার মধ্যেই রাখা হবে। সাধারণের হাতের নাগালের মধ্যেই যাতে থাকে, সেই উদ্দেশ্য়েই উত্‍পাদন শুরু করা হবে।

HPV Vaccine: কেটে গিয়েছে ২ বছর! এখনও সার্ভাইক্যাল ক্যানসারের টিকা উত্‍পাদনই শুরু করেনি সিরাম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2022 | 5:39 PM

ভারতে প্রথমবার পেতে চলেছে সার্ভাইক্যাল ক্যানসার (Cervical Cancer) প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস-এর ( HPV Vaccine) প্রতিষেধক, যা দেশেসর চিকিত্‍সাক্ষেত্রে যুগান্তকারী ঘটনা। আগামী ২ বছরে ২ কোটি এই ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (Serum Institute of India)। সম্প্রতি সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও জানিয়েছেন, করোনা অতিমারির কারণে এই জরুরি প্রতিষেধক তৈরি করতেই ২ বছর দেরি হয়েছে। তবে আশার আলো, আগামী ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই উত্‍পাদন শুরু করে দেওয়া হবে। তাঁর কথায়,করোনা অতিনারির কারণে যে কোভোভ্য়াক্স উত্‍পাদনেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে এতদিন। ক্যানসারের প্রতিষেধকটি যেখানে তৈরি করা হচ্ছে, সেখানেই এতদিন ধরে কোভিড ভ্যাকসিনের উত্‍পাদন করা হচ্ছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেএইচপিভি-এর প্রতিষেধকের কাজও পিছিয়ে গিয়েছে।

সংস্থা থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই প্রতিষেধকের দাম মোটামুটি ২০০ থেকে ৪০০টাকার মধ্যেই রাখা হবে। সাধারণের হাতের নাগালের মধ্যেই যাতে থাকে, সেই উদ্দেশ্য়েই উত্‍পাদন শুরু করা হবে। প্রতিষেধকের মূল্য নিয়ে আগেই ঘোষণা করেছিল সংস্থা। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহও আশ্বাস দিয়েছেন।

সিইও আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, আমরা প্রথম খুব কম পরিমাণে উত্‍পাদন শুরু করব। আগামী বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারত সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তা ফের পুরোদমে চালু করা হবে। এরপর ৭০ মিলিয়ন ডোজের ক্ষমতায় পরবর্তী বছরে ১৫০-২০০ মিলিয়ন ডোজে পৌঁছে যেতে পারে। ইতোমধ্যেই গার্হস্থ্য ব্যবহারের জন্য ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছ থেকে একটি অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে. একবার সাধারণ মানুষ ব্য়বহার শুরু করলে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও প্রিকোয়লিফিকশন পাওয়ার আশা রয়েছে।

সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কাগজপত্রের কাজ শুরু করা হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ইউনিসেফ, গ্যাভি ও আফ্রিকান দেশগুলিতে রপ্তানি করার চেষ্টা চলবে। সেই সময় সংস্থায় উত্‍পাদন ক্ষমতাও বাড়ানো হবে। ভারতীয় টিকাদান কর্মসূচি থেকেও প্রচুর অর্ডার আসা শুরু হবে। প্রতিষেধক উত্‍পাদন করার কাজ শুরু হলেই প্রতি মাসে সরকারকে ১০ থেকে ২০ লক্ষ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা সম্ভব হবে।