AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

World Health Day: ডায়েট ও ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই! সুস্থ ও সুন্দর থাকতে জীবনে আনুন এই ৭টি অভ্যাস

Fit And Fine: বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে, সামগ্রিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে জীবনে কয়েকটি অভ্যাস তৈরি করতে হবে, সেগুলি কী কী, তা দেখে নিন একনজরে...

World Health Day: ডায়েট ও ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই! সুস্থ ও সুন্দর থাকতে জীবনে আনুন এই ৭টি অভ্যাস
| Edited By: | Updated on: Apr 07, 2022 | 9:32 AM
Share

অভ্যাসের হেরফেরের কারণে আমার স্বাস্থ্যের উপর দারুণ প্রভাব পড়ে। অভ্যাস এবং জীবনধারার উপরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে আমাদের সুস্বাস্থ্যের পরিকাঠামো। অভ্যাস যদি সঠিক থাকে, তাহলে ডায়েটও করতে হবে না। অভ্যাস (Habits) ও জীবনধারার মাধ্যমেই সুষ্ঠুভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে (World Health Day), সামগ্রিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে জীবনে কয়েকটি অভ্যাস তৈরি করতে হবে, সেগুলি কী কী, তা দেখে নিন একনজরে…

মরশুমি ফল খাওয়া- সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে মরশুমি ফল খাওয়া অন্যতম শক্তিশালী অভ্যাস। ফলের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, যা সুস্থ থাকার ও ওজন কমানোর চাবিকাঠি। সবসময় খালি পেটে ফল খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিন। আপনি যে মরশুমি ফলই পছন্দ করেন না কেন, দিনে দুই-তিনটি ফল খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে দীর্ঘক্ষণ সাহায্য করবে।

দিনে এক বাটি সালাদ খান: খাবারের আগে সালাদ ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। সালাদে যে সবজি খান না কেন,তা সবসময়ই সুস্বাস্থ্য এবং ভালো মানের ফাইবারের চাবিকাঠি। খাবারের আগে সালাদ খাওয়াও আমাদের শরীরকে ক্ষারীয় করে তোলে।

খাবার খাওয়ার জন্য সঠিক সময়: সঠিক খাবার খাওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক সময়ে খাওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একটি সাধারণ জীবনধারা পরিবর্তন যা সবাই করতে পারে তা হল তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খাওয়া। তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খাওয়ার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল একটি ভাল পাচনতন্ত্র। দেরিতে রাতের খাবার খাওয়া হজমের জন্য ক্ষতিকর। সবসময় চেষ্টা করা উচিত সন্ধ্যা ৭ বা ৭.৩০ মিনিটের মধ্যে ডিনার শেষ করা।

১২ ঘন্টা বিরতিহীন উপবাস: আমাদের শরীরের নিজেকে নিরাময় করার একটি সহজাত ক্ষমতা রয়েছে। মাঝে মাঝে আমাদের অন্ত্র এবং পরিপাকতন্ত্রকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত। তার জন্য একটি সহজ উপায় হল সর্বনিম্ন ১২ ঘন্টা বিরতিহীন উপবাস অনুশীলন করা। রাত ৮ টার মধ্যে আপনার ডিনার শেষ করার চেষ্টা করুন এবং তার পরে ১২ ঘন্টা কিছু খাবেন না।

প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা: গত তিন দশকে লাইফস্টাইল ডিজিজের মহামারী বৃদ্ধির প্রাথমিক কারণগুলির মধ্যে একটি হল প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া। যেমন চিপস, বিস্কুট, চকলেট, বায়ুযুক্ত পানীয়, এর ব্যবহারে তীব্র বৃদ্ধি। এএই জাতীয় খাবারের ব্যবহার কমাতে না পারলেও খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।

সময়মতো ঘুমানো: ভালো ঘুম ভালো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক। লেপটিন হরমোন আমাদের ক্ষুধামন্দায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাল ঘুম যদি না হয় তাহলে খাওয়ার প্রতি অনীহা জন্মায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার। সময়মতো ঘুমাতে যান। ঘুমের ঠিক একঘণ্টা আগে টিভি, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ইত্যাদি দেখবেন না।

সুষ্ঠু জীবনযাপন ও মানসিক শান্তি: দুর্বল ঘুমের মতো, জীবনযাত্রার রোগ বৃদ্ধির আরেকটি বড় কারণ হল মানসিক চাপ। মানুষ হিসাবে, আমাদের প্রতিদিন ৭০-৮০ হাজার চিন্তা মাথার মধ্যে ঘোরে। প্রতিটি চিন্তার একটি আবেগ রয়েছে।. আমাদের কাছে দুটি বিকল্প রয়েছে, চাপ, ভয়, উদ্বেগ বা ভালবাসা, আনন্দ, সুখ এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বাঁচুন। আমরা যখন ক্রমাগত মানসিক চাপের মধ্যে থাকি, তখন আমাদের শরীর আরও প্রোটিন নিঃসরণ করে। তার ফলে নানান শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়।

আরও পড়ুন: Summer heatwave: খুলে গিয়েছে ছোটদের স্কুলও! গরমের প্রখর তাপ থেকে খুদেদের কীভাবে সুস্থ রাখবেন?

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।