তিক্ত সম্পর্কে ফের ভালবাসার আগুন জ্বালাবেন কীভাবে, রইল কিছু টিপস…

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পরস্পরকে দাঁতে দাত চেপে সবকিছুকে সহ্য করার মতো ক্ষতিকর কিছু হয় না। ভালবাসার মানুষ দুটির সুখী থাকার জন্য একসঙ্গে থাকতেই হবে এমন মাথার দিব্যিও কেউ দেয়নি।

তিক্ত সম্পর্কে ফের ভালবাসার আগুন জ্বালাবেন কীভাবে, রইল কিছু টিপস...
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: Apr 09, 2021 | 8:17 PM

বিয়ে করে সন্তান পালন করার জন্যই শুধু সম্পর্কটিকে টিঁকিয়ে রাখতে হবে এমন কথাও কেউ বলেনি। পুরোটাই নিজেদের মনস্তাত্বিক ধারণা। পরস্পরের মধ্যে সম্মানবোধ রয়েছে, এমন সুসম্পর্কের চাহিদাই অনেকে। কিন্তু সম্পর্ক গড়তে গিয়ে যদি নিজেদের দোষারোপই করতে থাকেন, তাহলে সেই সম্পর্কের ইতি কোন দিকে এগোচ্ছে সেই ধারণা অনেকেরই থাকে না। সম্পর্কে তিক্ততায় ভরে গেলে, বিষাক্ত হয়ে গেলে নিজেদেরকেই বদলানোর চেষ্টা করতে হবে। একে অপরের মধ্যে ভালবাসা ফের ফিরিয়ে আনতে কিছু পরামর্শ দেওয়া রইল…

মাথা দিয়ে নয় মন দিয়ে সম্পর্কটি গড়ার চেষ্টা করুন। সব সম্পর্কের মধ্যে ঝড়ঝাপ্টা আসে। কিন্তু সেই ঝামেলাকে এড়িয়ে কীভাবে পারস্পরিক বোঝাপড়ায় আসবেন তার জন্য আবেগকে দূরে রাখুন। রঙিন স্বপ্ন বোনার জন্য উভয়ের ভালবাসার রঙকেই কাজে লাগান। মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়লে একে অপরের সঙ্গে সব কথা শেয়ার করা চেষ্টা করুন।

ইতিবাচক ভাবনাকে প্রাধান্য দিন। অনুপ্রেরণামূলক সিনেমা, গল্পের বই পড়ুন। নেতিবাচক মানুষের থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এগুলো সম্পর্কে বিশেষ প্রভাব পড়ে। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা পরিচিত লোকের কাছে বিশেষ কথা না বলাই ভাল। দরকার হলে কাছের ও বিশ্বাসী ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করুন।

সম্পর্কে টানাপোড়েনে বিরক্ত হলে কিছুদিন অন্য কোথা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। একা থাকার অভ্যেস থাকলে নিজেই কোথাও ঘুরে আসুন। অনেকে একা হয়ে যাওয়ার ভয়ে সম্পর্কের ফাঁদে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। কঠিন বাস্তবকে যতটা গ্রহণ করতে পারবেন, তত লাভ। সুসম্পর্ক বজায় রাখতে একই জায়গায় দুটি মানুষকে থাকতে হবে এমন কোনও নিয়ম নেই। একসঙ্গে হলে তো ভালই, পারলে নিজেই একটু দূরে ঘুরে আসুন।

নিজের উপর বিশ্বাস হারাবেন না।, আপনি নিজে কী চান, তা ঠিক করুন। সেই মতামত কে সঠিক বলে মানল কি না মানল, তা নিয়ে বিশেষ ভাববেন না। কারণ বাইরের লোকেদের কাজই হল অন্যের ব্যাপারে মাথা গলানো। সম্পর্ক নিয়ে কোনও গুজবে কান দেবেন না। সঙ্গীর উপর অযথা সন্দেহ বাড়াবেন না। সম্পর্কে তিক্ততা শুরু হলে সেই সম্পর্কে অযথা তৃতীয় ব্যক্তিকে টেনে নিয়ে আসাই মঙ্গলের।

নিজের চাহিদাগুলিকে নিজেই পূরণ করার চেষ্টা করুন। নিজের যত্ন ও নিজের দায়িত্ব নিতে অন্য কারোর উপর নির্ভরশীল হবেন না। ভালবাসার মানুষকে নিয়ে পথ চলার স্বপ্ন দেখা শুরু করলে আগে নিজের দায়িত্ব নিজেই নিতে শিখুন।

কেরিয়ারে উন্নতির কারণে সম্পর্কগুলি ভেঙে যেতে বসেছে। এই ধারণা একেবারেই মন থেকে হঠিয়ে ফেলুন। কারণ কেরিয়ারের শীর্ষে উঠতে সাহাস্য করেএকটি সুসম্পর্কই। তাই কেরিয়ারকে দোষ না দিয়ে উভয়ের মতামতকে গুরুত্ব দিন। উভয়ের কাজকে গুরুত্ব দিন, পরস্পরের মধ্যে সম্মানবোধ থাকলে তিক্ততা আবার মিষ্টিতে পরিণত হতে পারে।

প্রত্যেক দাম্পত্যজীবনেই সংঘাতের একটি প্রবণতা দেখা যায়। সেই সংঘাতকে কীভাবে টপকে, নিজেদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝিকে সরিয়ে ফের সম্পর্কের মধ্যে জীবন আনবেন. তা পুরোটাই দুটি ভালবাসার মানুষের উপর নির্ভর করে। সব সম্পর্কেই ইতি টানতে হবে এমন মাথার দিব্যিও কেউ দেয়নি। সীমারেখার বাইরে চলে গেলেও তিক্ততার সম্পর্ককে ফের উদ্দীপিত করা সম্ভব।