Sleep Apnea: ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন? আপনার মতো স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভুগছে প্রায় ১০ কোটি ভারতীয়
Obstructive Sleep Apnea: সাধারণত স্থূলকায়, মধ্যবয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হন। যদিও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্লিপ অ্যাপনিয়ার পরিণাম হয় মৃত্যু। তবুও এই রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম।

সঙ্গীর নাক ডাকার শব্দে ঘুম হয় না? আপনার সঙ্গীর মতো এমন অবস্থা আরও ১০ কোটির ভারতীয়র। ঘুমের মধ্যে সশব্দে নাক ডাকা, সারারাত জেগে বসে থাকা, ঠিকমতো ঘুম না হওয়া ভুগছে ১০.৪ কোটি ভারতীয়। এই অবস্থাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় স্লিপ অ্যাপনিয়া। দিল্লির এমসের করা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’-এ আক্রান্ত প্রায় ১০ কোটির মতো ভারতবাসী। এমসের এই গবেষণাটি সম্প্রতি ‘স্লিপ মেডিসিন রিভিউ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
গত দু’দশক ধরে এই স্লিপ অ্যাপনিয়াগবেষণা চলেছে দিল্লি এমসে। মোট ৭টি সমীক্ষা করেছেন এমসের গবেষকেরা। তারই ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে, বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ ভারতীয় এই রোগে ভুগছেন। এমনকি এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা বেশি। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে, মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি মাত্র ৫ শতাংশ। এছাড়াও ৪.৭ কোটি ভারতীয় স্লিপ অ্যাপনিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
সাধারণত স্থূলকায়, মধ্যবয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হন। যদিও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্লিপ অ্যাপনিয়ার পরিণাম হয় মৃত্যু। তবুও এই রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম। তবে, বয়স অনুযায়ী স্লিপ অ্যাপনিয়ার বিভিন্ন উপসর্গ প্রকাশ পায়। কিন্তু সচেতনতা না থাকায় এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ওজন খুব বেশি হলে, অ্যাডিনয়েডের সমস্যা থাকলে স্লিপ অ্যাপনিয়া আপনাকে দ্রুত আক্রমণ করবে। এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত মদ্যপান ও ধূমপান করেন, তাহলেও আক্রান্ত হতে পারেন এই ঘুমের ব্যাধিতে। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ঘুমের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি ঘুমের মধ্যে শ্বাসনালী অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে এবং এখান থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা, বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া, কম ঘুম হওয়া—এগুলোই স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ।
স্লিপ অ্যাপনিয়া থেকে ধীরে-ধীরে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমনকি হজম সম্পর্কিত নানা গোলযোগ দেখা দেয়। এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। স্লিপ অ্যাপনিয়ার উপসর্গ যদি জোরাল না হয়, তাহলে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন এনে এই সমস্যা দূর করতে পারেন। ওজন কমিয়ে এবং অ্যালকোহল ও সিগারেটের ব্যবহার কমালে আপনি স্লিপ অ্যাপনিয়ার ঝুঁকিও এড়াতে পারবেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।





