Heart Failure: বেশি করে জল খান আর দূরে রাখুন হৃদরোগ
Heart Problem: পরিমিত ভাবে জল খেলে কিন্তু অনেক রকম সমস্যা দূরে রাখা যায়। আর শরীর যত বেশি হাইড্রেট থাকবে ততই শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হবে। আর তাই জল খেতে কিন্তু ভুলবেন না....
সম্প্রতি ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে নতুন একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। আর সেখানেই বলা হয়েছে শসীর যদি সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পায়, যদি শরীরের আর্দ্রতা সঠিক ভাবে বজায় থাকে তাহলে কিন্তু অনেক রকম সমস্যা দূরে থাকে। এখানে যদিও মূলত হার্টের সমস্যার কথাই বলা হয়েছে। যাঁরা সারাজীবন জল এবং তরল খাবার বেশি খান, তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু হার্টের সমস্যার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে কমতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকিও। ইদানিং কালে হার্টের সমস্যা খুব কমবয়সীদের মধ্যেও কিন্তু আসছে। বেড়েছে হার্ট ফেইলিওরের সংখ্যাও। যা কিন্তু রীতুমতো অ্যালার্মিং। আগে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে এই সমস্যা দেখা গেলেও এখন কিন্তু তরুণরাও হচ্ছেন হৃদরোগের শিকার। ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন সব চিকিৎসকরাই কিন্তু জানিয়েছেন, নুন খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। সেই সঙ্গে আরও বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। এতেই যেমন আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে তেমনই কিন্তু কমবে হৃদরোগের ঝুঁকিও।
কারণ ডিহাইড্রেশনের মত সমস্যা হলে কিন্তু হৃৎপিন্ড ঠিকমতো পাম্প করতে পারে না। ফলে তখন শরীরের সর্বত্র রক্ত সঞ্চালন সমান থাকে না। ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিয়ে চালানো হয় এই সমীক্ষা। প্রত্যেকেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং সকলের বয়স ছিল ৪৫-৬৬ বছর বয়সের মধ্যে। প্রায় ২৫ বছর ধরে এই সমীক্ষা চালানো হয়। যখন তাঁদের গবেষণার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল তখন প্রত্যেকেরই শরীরে স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকত। সেই সঙ্গে অন্য কোনও রকম সমস্যাও কিন্তু ছিল না। তবে পরবর্তীতে দেখা যায় শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে এসেছে স্থূলতা, ডায়াবিটিসের মনত সমস্যাও। বয়স যত বেড়েছে ততই এই সমস্যা জটিল হয়েছে। সেই সঙ্গে এসেছে হৃদরোগও। শরীরে এই জলের ঘাটতি হলে কিন্তু সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসে। রক্তনালি সংকুচিত হয়ে যেতে পারে। জটিল কোনও সমস্যার ইঙ্গিত কিন্তু আসে এখান থেকেই। আর এই ততঅযের উপর ভিত্তি করে দেখা গিয়েছে, যদি শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা 142 mEq/L- এর চেয়ে বেশি হয় তাহলে কিন্তু সমস্যা আরও অনেক বেশি জটিল হয়।
সিরাম সোডিয়াম এবং ফ্লুইড ইনটেক বিষয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা সময়মতো করালেই শরীরে জলের ঘাটতি আছে কিনা তা ধরা পড়ে যায়। ফলে চিকিৎসাতেও সুবিধে হয়। হৃৎপিন্ড থেকে রক্ত পাম্পিং পদ্ধতির মাধ্যমে শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে কিন্তু শরীরের জন্য হাইড্রেশন জরুরি। এতে শরীরের রক্তজালিকাগুলিও ঠিক মতো কাজ করে। শরীরের সর্বত্র রক্তপ্রবাহ সমান থাকে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।