Hip fracture precautions: নিরামিষাশী মহিলাদের মধ্যে বাড়ে হিপ ফ্র্যাকচারের প্রবণতা! সুস্থ থাকতে যে সব পরামর্শ মেনে চলবেন
side effects of Vegan diet: যে নিরামিষাশীদের BMI কম থাকে যা কিন্তু হিপ ফ্র্যাকচারের অন্যতম কারণ। ওজন খুব বেশিও যেমন ভাল নয় তেমনই কম থাকলেও সমস্যা হয়
জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়ে আমাদের দেশের প্রায় ৭৬ শতাংশ মানুষই নিরামিষাশী। এই তালিকায় পুরুষদের তুলনায় বেশি রয়েছেন মহিলারাই। যে কোনও মানুষেরই নিরামিষাশী হওয়ার নেপথ্যে থাকে একাধিক কারণ। কেউ ধর্মীয় অনুশাসনের ভয়ে খান না, কেউ সুস্থ থাকতে শুধুমাত্র নিরামিষ খান আবার পরিবেশগত কারণেও আজকাল অনেকে নিরামিষ খাবার বেছে নিচ্ছেন। যদিও বেশিরভাগক্ষেত্রে সুস্থ থাকাই থাকে প্রধান কারণ। নিয়মিত নিরামিষ খাবার খেলে এনেক রকম রোগের ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া যায়। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাঁরা নিয়মিত ভাবে নিরামিষ খান। তবে একদিক থেকে ভাল হলে অন্যদিক থেকে আবার সমস্যা থেকে যায়। নিরামিষশীদের হাড় তুলনায় অনেকটাই দুর্বল হয়। ফলে ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা নিয়ম করে নিরামিষ খান তাঁদের হাড়ের মধ্যেকার খনিজের ঘনত্ব কম থাকে। সেই সঙ্গে হাড় তুলনায় দুর্বল থাকে। ফলে আঘাত পেলে সহজেই হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও হাড় সংক্রান্ত আরও রোগের উদ্বেগও থেকে যায়। আর এই ফ্র্যাকচারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা থাকে হিপ ফ্র্যাকচারের। আর এই ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনা মহিলাদের মধ্যে অনেকটাই বেশি। যে সব মহিলারা নিয়মিত ভাবে নিরামিষ খান তাঁদের মধ্যে হিপ ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি থাকে বেশি। তুলনায় যাঁরা মাংস খান তাঁদের মধ্যে সেই সম্ভাবনা ৩৩ শতাংশ কম থাকে।
গবেষকরা মোট ৩৫ হাজার মহিলার উপর এই গবেষণাটি চালান। সেখানে এমন কিছু মহিলা ছিলেন যাঁরা সপ্তাহের মধ্যে ৫ দিন মাংস খান। কিছুজন ছিলেন যাঁরা মাছ আর মাংস মিশিয়ে খান। আর কিছুজন সম্পূর্ণ নিরামিষাশী। এছাড়াও যে সব মহিলারা নিয়মিত ভাবে ধূমপান, মদ্যপান করেন, শরীরচর্চা করেন না বা যাঁদের মেনোপজ হয়ে গিয়েছে তাঁদের উপরেও সমীক্ষাটি করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষা থেকেই উঠে এসেছে, যাঁরা নিয়মিত ভাবে নিরামিষ খান তাঁদের মধ্যে হিপ ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বেশি। যাঁরা মাছ, মাংস মিশিয়ে খান তাঁদের মধ্যে সেই সম্ভাবনা কম। ২০২১ সালের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, নিরামিষাশীদের মধ্যে সেই ঝুঁকি আগের চাইতে ১৭ শতাংশ বেড়েছে। অন্য একটি গবেষণা অবশ্য বলছে, প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি খেলে সেই সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।
অন্য একটি গবেষণা থেকে এই তথ্যও উঠে এসেছে যে নিরামিষাশীদের BMI কম থাকে যা কিন্তু হিপ ফ্র্যাকচারের অন্যতম কারণ। ওজন খুব বেশিও যেমন ভাল নয় তেমনই কম থাকলেও সমস্যা হয়। যাঁরা নিরামিষ খাবার খান তাঁদের রোজকারের তালিকায় দুধ রাখা আবশ্যক। মাছ এবং মাংস শরীরের জন্য উপকারী বিশেষত হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে। এছাড়াও মাংসের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফসফরাস এবং জিঙ্ক। নিরামিষাশীদের শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকে। তাই এ দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। রোজ নিয়ম করে বিভিন্ন ফল, বাদাম, দুধ এসব কিন্তু খেতেই হবে।
পাশাপাশি ধূমপান একেবারে বন্ধ করতে হবে। নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম, শরীরচর্চা করতে হবে। অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।