সর্বনাশা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি মিলবে কবে? স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আকুল মানুষ

করোনা নিয়ে আতঙ্কের অন্ত নেই। দ্বিতীয় ঢেউয়ের বীভত্‍স রূপে প্রায় নাজেহাল অবস্থা ভারতের। গত ১ বছর ধরে করোনার দৌরাত্ম্যে মানুষে দিশেহারা। সকলের একটাই প্রশ্ন, কবে এই মর্মান্তিক যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাব? কবে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে পাব? আগের অবস্থায় ফিরতে আর কত মৃত্যুমিছিল চোখের সামনে দেখতে হবে?

সর্বনাশা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি মিলবে কবে? স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আকুল মানুষ
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 08, 2021 | 9:24 PM

করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের জেরে বিধ্বস্ত দেশ। সব রেকর্ড ভেঙে এখন নতুন লক্ষ্যে নয়া রূপে ভেল্কি দেখাচ্ছে করোনাভাইরাস। দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে না সামলাতে তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্র। গত বছর যখন করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছিল, সেইসময় বলা হয়ছিল, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে। কিন্তু কোথায় কী! বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে দেশজুড়ে। টিকা নেওয়ার পরও দেশে সর্বনাশা কোভিডের বাড়াবাড়ন্ত অব্যাহত।

চিকিত্‍সকবিজ্ঞানীদের কথায়, এপ্রিল থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে কোভিড ১৯ রেকর্ড হারে বাড়তে থাকবে। মে মাসের শীর্ষে পৌঁছে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের আতঙ্ক কিছুটা কমতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে হারে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, ঠিক সেই দ্রুততার সঙ্গে এর প্রভাবও হ্রাস পাবে। তবে সম্পূর্ণবাবে কি এই মারণভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে? এখন সেটাই প্রশ্ন সকলের।

মে মাসের পর থেকে করোনার দাপাদাপি কমলেও কমতে পারে। তবে বিশ্ব থেকে করোনা যাওয়ার নয়। যত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, ঠিক সেই দ্রুত গতিতে এর প্রভাবও হ্রাস পাবে। রোগটি থেকে কবে মুক্তি মিলবে তার সঠিক তথ্য নেই। তবে ভাইরাসটি পরবর্তীকালে একটি ঋতুকালীন ফ্লুতে পরিণত হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

ভেলোরের ক্রিশ্চান মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজিস্ট ড. গগনদীপ কং জানিয়েছেন, করোনা বিরুদ্ধে লড়তে গেলে প্রথমেই দরকার লকডাউন। তারপর মানুষের সচেতনতা। মারণবাইরাসটি পৃথিবী ছেড়ে একেবারেই বিলুপ্তি ঘটবে না। বরং একটি মারণভাইরাস হিসেবেই মানুষের খুব কাছাকাছি অবস্থান করবে। আর এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে হলে চাই স্বাস্থ্যকর জীবন, বাড়াতে হবে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও। ইতোমধ্যে তৃতীয় তরঙ্গের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এরপর হয়তো আর ততোধিক তরঙ্গ আসতে পারে। তারপরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, গ্রামের দিকে ও মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে আগে সচেতনতা আনতে হবে। আমরা এখনও কোনও শেষ করোনা তরঙ্গের মধ্যে যাচ্ছি না। এখনই যদি সব নাগরিকের জন্য টিকাকরণের ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে হয়তো আরও কোনও বিপদ তৈরি রয়েছে। যদি টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে এই কঠিন অবস্থাটি ধীরে ধীরে কাটতে তাকবে। ভ্যাকসিন আসলে শরীরের গুরুতর অসুস্থতা ও সংক্রমণের থেকে রক্ষা করে।

তাই কোন টিকা ভাল, আর কোন টিকা নিলে ভাইরাস থেকে বাঁচতে পারবেন, সেই সব প্রশ্ন এখন অমূলক। করোনার বিরুদ্ধে লড়তে গেলে ভ্যাকসিন যেমন নিতে হবে, তেমনি সচেতন হয়ে সুস্থ থাকার মন্ত্র জানতে হবে।