Thyroid medication: নিয়ম মেনে চলতে পারলে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, আরও যা কিছু মেনে চলবেন আপনি…
Thyroid medicine dosage: থাইরয়েডের ওষুধ যেমন নিজের থেকে শুরু করবেন না তেমনই কিন্তু খেয়াল খুশিতে বন্ধো করবেন না। বছরে অন্তত একবার অবশ্যই থাইরয়েডের পরীক্ষা করান। ওষুধ খান সময়ে।
ডায়াবিটিস, ফ্যাটি লিভার এবং অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে থাইরয়েডের সমস্যাও। থাইরয়েড পুরোপুরি হরমোনজনিত একটি অবস্থা, যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি হয় অতিরিক্ত পরিমাণ থাইরয়েড উৎপন্ন করে, নয়তো পরিমাণের তুলনায় কম হরমোন উৎপন্ন করে। সেই সঙ্গে শরীরের অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার উপরেও প্রভাব ফেলে। ফলে অনিদ্রা, ওজন হ্রাস, ওজন বেড়ে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, মন খারাপ এসব লেগেই থাকে। তবে থাইরয়েড কিন্তু কখনই পুরোপুরি সেরে যায় না। নিয়মিত ওষুধের মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। প্রত্যেক মানুষেরই বছরে অন্তত একবার থাইরয়েডের পরীক্ষা করানো উচিত। আর সেই পরীক্ষার উপর ভিত্তি করেই কিন্তু ওষুধের ডোজ নির্ধারণ করা হয়। থাইরয়েডের মাত্রা কিন্তু নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হার্ট, নার্ভের একাধিক সমস্যা আসতে পারে। খাবার হজম করতে অসুবিধে হয়, বিপাক ক্রিয়া কমে যায় অনেকটাই। আর তাই থাইরয়েডের ওষুধ খান নিয়ম মেনে। সময়ে খান। সঠিক ডোজে খান।
বেশিরভাগ ওষুধই যেমন দুপুরের খাবারের পর কিংবা ব্রেকফাস্টের পর খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা তেমনই কিন্তু থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার জন্য সকালে খালিপেটে খাওয়ার কথাই বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। সপ্তাহের ৭ দিনই সকালে খালি পেটে থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। খাওয়ার পর এই ওষুধ খেলে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যায় বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার প্রাথমিক শর্তই হয় সময় ধরে খাওয়া। প্রতিদিন সকালে যে সময়ে আপনি ওষুধ খান সেই নিয়মই মানার চেষ্টা করুন। সোমবার সকাল ৬ টায় খেলেন আবার বৃহস্পতিবার সেই সময় পেরিয়ে গিয়ে সকাল ৮ টায় ওষুধ খাবেন এরকমটা না করাই ভাল। সেই সঙ্গে ভুল করেও কিন্তু এই ওষুধ খেতে ভুলে যাবেন না। ওষুধ খাওয়ার ৩০ মিনিট পর ব্রেকফাস্ট খান। ওষুধ কিন্তু জল দিয়েই খাবেন। গরম চা কিংবা কফি দিয়ে নয়। এতে ওষুধের গুণটাই নষ্ট হয়ে যায়।
আয়োডিনের অভাব থাইরয়েডের অন্যতম কারণ আর তাই ওষুধ হিসেবে আয়োডিনই দেওয়া হয়। যদিও রেডিয়োঅ্যাক্টিভ আয়োডিন ( radioactive iodine) কিন্তু বড়দের দেওয়া হয় না। কারণ ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই আসতে পারে ইনফার্টিলিটির সমস্যা। তবে যাঁদের হাইপোথাইরয়েডিজম রয়েছে তাঁরা যদি নিয়মিত ওষুধ খান তাহলে তাঁদের ডোজ কমিয়েও দেওয়া হয়। তবে যাঁদের বেশি ডোজের ওষুধ দেওয়া হয় তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় মেটাবলিজমে।
ওষুধ খেতে ভুলে যাবেন না, এই বিষয়টির উপর কিন্তু বারবার জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ থাইরয়েডের ওষুধের প্রভাব শরীরে থাকে অনেক দিন পর্যন্ত। যদি একদিন ভুলে যান কোনও কারণে তাহলে কিন্তু পরের দিন অবশ্যই খাবেন। তার বেশি দেরি করবনে না। একদিন ছাড়া একদিন- এভাবে কিন্তু থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়া হয় না। নিজের থেকে কিন্তু এই ওষুধ বন্ধ করবেন না। কারণ থাইরেড কখনই পুরোপুরি সেরে যায় না। ওষুধ খেয়ে নিয়ন্ত্রণে থাকে মাত্র। ডোজ কমানো বা বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকই।
আরও পড়ুন: Triphala: পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া ওজন কমাতে চান? পরখ করে দেখুন ত্রিফলা!