Bone Health: তলে তলে হাড় ঝাঁঝরা হয় এই ৬ অভ্যেসে! সাবধান হোন আজ থেকেই

Health Tips: রাত জেগে ওয়েব সিরিজ দেখতে পছন্দ করেন? ফলে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না! খুব সাবধান। নানা সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে রাতে পর্যাপ্তমাত্রায় ঘুমের অভাব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে হাড়ের স্বাস্থ্যে!

Bone Health: তলে তলে হাড় ঝাঁঝরা হয় এই ৬ অভ্যেসে! সাবধান হোন আজ থেকেই
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2022 | 1:29 PM

শারীরিকভাবে ফিট (Healthy Life) থাকতে একজন ব্যক্তির হাড়ের কাঠামো শক্তপোক্ত হওয়া দরকার। নাহলে বারংবার দেখা দিতে পারে অস্থিভঙ্গ, বাত, সারা শরীরে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ। সমস্যা হল আমরা এখন আধুনিক জীবনে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে হাড়ের স্বাস্থ্যের (Bones Health)  দিকে নজর দিতে পারি না। এছাড়া সারাদিনে এমন কিছু কুঅভ্যেসে (Bad Habits) আমরা লিপ্ত হই যে হাড় ধীরে ধীরে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। সামান্য চোট আঘাতে হাড় ভেঙে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, বিনা কারণে শরীরে নানা জায়গায় বেদনার উপসর্গ দেখা দিলে তা কিন্তু হাড় দুর্বল হওয়ার দিকেও ইঙ্গিত করতে পারে। বিশেষ করে পা, হাত, কোমর, পিঠে একটানা ব্যথা হলে অবশ্যই দেখতে হবে যে হাড় কমজোরি হয়ে পড়ছে কি না। তবে হ্যাঁ, কু-অভ্যেসগুলিকে চিহ্নিত করে সেগুলি জীবন থেকে বাদ দিলে এবং কিছু সুঅভ্যেস আয়ত্ত করলে বৃদ্ধ বয়সেও দেহসৌষ্ঠব নষ্ট হয় না। অথর্বও হতে হয় না। অতএব আগে কুঅভ্যেসগুলিকে জানতে হবে। দেখা যাক সেগুলি কী কী?

• রান্নায় অতিরিক্ত নুনের ব্যবহার, পাতে কাঁচা নুন খাওয়া, চিপস, চানাচুরের মতো নোনতা খাবার খাওয়ার অভ্যেস হাড়ের ঘনত্ব নষ্ট করার ক্ষমতা রাখে। বিশেষ করে নুনে থাকা সোডিয়াম হাড়ের ক্যালশিয়ামের ক্ষয় ঘটায়। সুতরাং আজ থেকেই নুন ও নোনতা খাদ্য খাওয়া কমান। স্বাদমতো নুন খেতে পারেন। তবে নুন খাওয়া যত কমাতে পারবেন ততই ভাল।

• বাড়িতে বসে কাজ করছেন? কাজ করুন, তবে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ বাড়িতে বসে একটানা কাজ করলে বাইরে রোদে বেরনোর সুযোগ কমে যায়। অথচ ত্বকে ভিটামিন ডি সংশ্লেষ হয় সূর্যালোকের উপস্থিতিতে। মনে রাখত. হবে, ভিটামিন ডি হাড় মজবুত করে। এছাড়া ছোট বাচ্চাদের আজকাল বাড়ির বাইরে বেরিয়ে খেলতে যাওয়ার অভ্যেস লাটে উঠেছে। তারাও রোদে বেরনোর সুযোগ কম পায়। এমন ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালের দিকে আটটার পর রোদে আধঘণ্টা থাকার অভ্যেস করুন ও এই বাচ্চাকেও সুঅভ্যেস করান।

• হাড়ের স্বাস্থ্যের ভয়ানক ক্ষতি করে অলস জীবনযাপন। শারীরিকভাবে সচল থাকলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ত্বরান্বিত হয় যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

• ধূমপানের অভ্যেস আছে! মনে রাখবেন, ধূমপান ফুসফুসের সঙ্গে আপনার হাড়ের ভয়ানক কুপ্রভাব ফেলে।

• হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বাড়িতে তৈরি সনাতন খাদ্যের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। তাই প্রয়োজন মতো ভাত, শাকসব্জি, মাছ, সেদ্ধ ডিম পাতে রাখুন। এছাড়া সম্ভব হলে প্রতিদিন একগ্লাস দুধ খান। দুধ খেতে না পারলে পাতে রাখুন দই। মনে রাখবেন সেদ্ধ ডিমের কুসুমে রয়েছে ভিটামিন ডি। দুধে ও দইয়ে রয়েছে ক্যালশিয়াম। ছোট মাছ কাঁটাশুদ্ধ চিবিয়ে খাওয়া অভ্যেস করুন। কারণ ছোট মাছ থেকে শরীরে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসের বেশি মাত্রায় ঢোকে। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন উপরিউক্ত সবকটি উপাদানই অত্যন্ত জরুরি। সমস্যা হল বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েরা বাড়ির তৈরি খাবারের চাইতে রেস্তোরাঁর অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি পছন্দ করে। অথচ এই ধরনের খাদ্যে উপযুক্ত মাত্রায় পুষ্টি উপদান থাকে না বললেই চলে। ফলে বাইরের খাবার খেয়ে পেট ভরালে একসময় তা হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর ভয়ানক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবেই।

• রাত জেগে ওয়েব সিরিজ দেখতে পছন্দ করেন? ফলে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না! খুব সাবধান। নানা সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে রাতে পর্যাপ্তমাত্রায় ঘুমের অভাব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে হাড়ের স্বাস্থ্যে! হাড় ক্রমশ ভঙ্গুর হতে থাকে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।