Weight Loss Diet: মেয়েরা শুনছেন! এই ডায়েট মেনে চললে মোটেই কমবে না ওজন, উলটে বাড়বে ক্ষতি

Diet Plan: কিটো ডায়েট, জি এম ডায়েট এবং ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এই তিন ডায়েট ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয়। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে তা কার্যকরী নয়...

Weight Loss Diet:  মেয়েরা শুনছেন! এই ডায়েট মেনে চললে মোটেই কমবে না ওজন, উলটে বাড়বে ক্ষতি
মেয়েদের জন্য কার্যকরী নয় যে সব ডায়েট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2022 | 11:51 AM

যে কোনও ডায়েট প্ল্যান কাজ করে শরীর এবং লিঙ্গ ভেদে। প্রত্যেকের শরীরের গঠন অনুযায়ী ডায়েট প্ল্যান আলাদা হয়। আর তাই পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যেও ডায়েট প্ল্যানে বিস্তর ফারাক। প্রাথমিক ভাবে পুরুষ ও মহিলাদের শরীরে চর্বি সঞ্চয় এবং চর্বি ব্যবহারের পদ্ধতি আলাদা। পুরুষদের দৈহিক গঠনের অংশ হিসাবে গড়ে প্রায় ৩ শতাংশ অপরিহার্য চর্বি থাকে – মহিলাদের ১২ শতাংশ। তবে এই চর্বি যে মেয়েদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক তা কিন্তু নয়। শরীপের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির সুরক্ষা, ভিটামিন সঞ্চয়, কোষে কোষে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দেওয়া- এসবের জন্যই কিনিতু প্রয়োজন ফ্যাটের। এছাড়াও শরীরের বিভন্ন স্নায়ু ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরও প্রভাব বিস্তার করে এই চর্বি।

তবে মহিলাদের মধ্যে ছেলেদের তুলনায় ৪ গুণ বেশি প্রয়োজনীয় চর্বি থাকে। আর এই সঞ্চিত চর্বি মহিলাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপরেই কিন্তু প্রভাব ফেলে। আর এই অপরিহার্য চর্বির একটা অংশই মহিলাদের টাইপ ২ ডায়াবিটিস ও হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে। আর তাই যদি ডায়েটের সাহায্যে  এই সঞ্চিত চর্বি গলিয়ে ফেলা হয় তাহলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসে। যে কারণে আমাদের প্রথম থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এই চর্বি গলে গেলে মহিলাদের স্নায়ুতন্ত্রের কাজে ব্যাঘাত ঘটে। যে কারণে ডায়েট শুরু করার আগে মহিলাদের এই কয়েকটি ডায়েট সম্বন্ধে জেনে রাখা উচিত এব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। সবচেয়ে ভাল কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই ডায়েট শুরু করা। কিটো ডায়েট, জি এম ডায়েট এবং ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এই তিন ডায়েট ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয়। অনেকেই এই তিন ডায়েট মেনে ১৫-২০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেন। মেয়েদের জন্য তা মোটেই কার্যকরী নয়। হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক সমস্যা। আর তাই এই তিন ডায়েট এড়িয়ে চলতে পারলেই কিন্তু ভাল।

কিটো ডায়েট- কিটোজেনিক ডায়েট প্ল্যানটি (Ketogenic Diet Plan)মেনে চললে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবর্তে বেশি করে খেতে হবে প্রোটিন এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার। আর তা থেকেই শরীরের এনার্জির ঘাটতি মিটবে। মস্তিষ্কের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালাতে যে যে উপাদানের প্রয়োজন পড়বে, শরীর তাও সংগ্রহ করবে প্রোটিন এবং ফ্যাটি খাবার থেকেই। চিকিৎসকেদের মতে শরীর যখন কিটোসিস স্টেটে থাকে, তখন প্রচুর মাত্রায় ফ্যাট বার্ন হয়, যে কারণে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। এই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ থাকে কম। এই ডায়েট অল্প দিনের মধ্যে কাজ করলেও মাথা ঘোরা, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য এই সব উপসর্গ থেকে যায়। যাঁদের PCOS বা পিরিয়জস সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছেল তাঁদের জন্য এই ডায়েট একেবারেই ভাল নয়।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং- শেষ কয়েক বছরে এই ডায়েট খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। এই ডায়েট মেনে ওজন কমলেও মহিলাদের উপর কিন্তু বিশেষ প্রভাব পড়ে। কথায় কথায় মেজাজ হারানো, খিদে মন্দা, ক্লান্তি, বিষন্নতা এসবই এই ডায়েটের খুব সাধারণ একটি বিষয়। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে। তাই এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল।

জি এম ডায়েট- এই ডায়েট মেনে ৭ দিনে চর্বি ঝরে গেলেও শরীরের উপর একাধিক প্রভাব পড়ে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুষ্টির ঘাটতি দেখা যায়। রক্তচাপ কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা এই সব লেগেই থাকে। আর তাই এই ডায়েট এড়িয়ে যেতে পারলেই কিন্তু সবচাইতে ভাল।