Workouts for Depression: নিয়মিত শরীরচর্চা কমিয়ে আনে বিষণ্ণতা! এর জন্য কোন ওয়ার্কআউটের সাহায্য নেবেন?
Mental Stress-Physical Activities: গবেষণায় জানা গিয়েছে, প্রতিদিন যদি নিয়ম মেনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করেন তাহলে বিষন্নতা থেকে দূরে থাকা যায়।
বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্কআউটও (Workout) বিষণ্নতার (Depression) বিরুদ্ধে লড়াই করতে খুব সহায়ক। প্রকৃতপক্ষে, শারীরিক কার্যকলাপের সময়, আমাদের মনও শরীরের সঙ্গে জড়িত থাকে, যার কারণে স্ট্রেসের (Mental Stress) কারণগুলি যত্ন নেওয়া হয় না। এছাড়াও এই ওয়ার্কআউটগুলি সুখী হরমোন নিঃসরণ করে, যা মন-মেজাজ ভাল রাখতে কাজ করে। সম্প্রতি ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকিয়াট্রি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন যদি নিয়ম মেনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করেন তাহলে বিষন্নতা থেকে দূরে থাকা যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত ভাবে এই ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করেন তাঁদের জীবন থেকে বিষণ্ণতা ৭৫ মিনিট কমে যায়। কিন্তু বিষণ্ণতা কমাতে কোন ওয়ার্কআউটের সাহায্য নেবেন তা কি জানেন?
দৌড়ালে কমে বিষণ্ণতা। তবে শুধু যে একদিন দৌড়ালেই আপনার মানসিক চাপ কমে যাবে কিংবা আপনি ডিপ্রেশনের কারণগুলির সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবেন তা নয়। তবে এই এক্সসারসাইজ আপনাকে সুস্থ থাকতে অনেকাংশে সাহায্য করবে। কারণে দৌড়ালে এটি পেশি তৈরির পাশাপাশি হার্ট ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। অন্যদিনে, দৌড়ালে শরীরে ডোপামিন এবং সেরোটোনিনের মতো সুখী হরমোন নিঃসরণকে হয় এবং কর্টিসলের মাত্রা হ্রাস করে, যা একটি স্ট্রেস হরমোন। এতে আমাদের মন-মেজাজ অনেকটা পরিমাণে ভাল হয়ে যায়।
পেশি গঠনে অনেকেই ওয়েট লিপটিংয়ের সাহায্য নেন। কিন্তু জানেন কি সামান্য মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতার লক্ষণগুলিও ওয়েট লিপটিং মাধ্যমে মোকাবেলা করা যেতে পারে। ওয়েট লিপটিংয়ের সময়, পুরো ফোকাস হাত এবং শরীরের দিকে থাকে এবং অন্যান্য বিষয়গুলি উপেক্ষা করা হয়। বাকি ওয়েট লিপটিং পেশীগুলিকে টোনড এবং শক্তিশালী করে তোলে। সব মিলিয়ে শরীর ফিট দেখা যায়। এতে মানসিক চাপ অনেক পরিমাণে কমে যায়।
যোগব্যায়াম হল দৌড়াদৌড়ি ছাড়াই করা সেরা শারীরিক কার্যকলাপ। শরীরের বিভিন্ন ভঙ্গি, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং ধ্যান আপনার মনের পাশাপাশি শরীরের উপর কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা মানসিক চাপ দূর করতে মেডিটেশনেরও পরামর্শ দেন। মাত্র আধ ঘণ্টা যোগব্যায়াম করার সঙ্গে সঙ্গেই, আপনি ভাল অনুভব করবেন এবং আপনি যখন এটি প্রতিদিন করা শুরু করবেন, তখন এর প্রভাব দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার ওপর দেখা যাবে।
যেমন ধরণেরই শারীরিক ক্রিয়াকলাপ হোক না কেন, এটি এমন জায়গায় করুন যেখানে আপনার গায়ে রোদ লাগবে। বাড়ির বাগানে, বারান্দায় কিংবা ছাদে আপনি ওয়ার্কআউট করতে পারেন। সূর্যের আলো মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা দূরে রাখতেও সহায়ক। সূর্যের আলোতে শরীরে সেরোটোনিন তৈরি হয়, যা মেজাজ ভালো রাখে। এছাড়াও এমন কাজ শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে নিজেকে জড়িত রাখুন যা আপনি করতে ভালবাসেন।
আরও পড়ুন: গর্ভবতী মহিলারা কি গরমে খরমুজা খেতে পারবেন? জেনে নিন এই ফলের উপকারিতা