Ayurvedic Remedies: সকালে পেট পরিষ্কার করতে বেগ পেতে হয়? আয়ুর্বেদের এই টোটকা মানলে আর কষ্ট করতে হবে না
Natural Remedies: একটু খাওয়া-দাওয়ার গণ্ডগোল হলেই বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। আর আবহাওয়া পরিবর্তন হলেই সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দেয়।
এখন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন, যার শরীরে কোনও সমস্যা নেই, কোনও শারীরিক জটিলতা নেই। বর্তমান জীবনধারাই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাছাড়া কোভিডের পর থেকে মানুষ ইমিউনিটি বৃদ্ধি নিয়ে সচেতন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু একটু খাওয়া-দাওয়ার গণ্ডগোল হলেই বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। আর আবহাওয়া পরিবর্তন হলেই সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দেয়। এই সব সমস্যায় চট করে কেউ চিকিৎসকের কাছে দ্বারস্থ হতে চায় না। আবার শারীরিক সমস্যা এতটাই তীব্র হয় যে, তা সহ্য করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে আপনি ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নিতে পারেন।
অ্যালোভেরার গাছ এখন কমবেশি সকলের ছাদ বাগানে পাওয়া যায়। আর হেঁশেলে সব সময় মজবুত থাকে হলুদ। এই হলুদ ও অ্যালোভেরা হল এমন দুটি ওষুধি উপাদান, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হলুদ ও অ্যালোভেরা খেলে শরীরে রোগের ঝুঁকি কমে যায়। আয়ুর্বেদেও এই সংমিশ্রণের কথা উল্লেখ রয়েছে। হলুদ ও অ্যালোভেরা দুটোই প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। সুতরাং, এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কিছুটা বোকামি হবে।
বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যালোভেরার মধ্যে ভিটামিন এ এবং ফলিক অ্যাসিডের মতো পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। এছাড়াও এই ভেষজ উপাদানের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। অ্যালোভেরা শরীরকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়।
অন্যদিকে, হলুদের উপর করা গবেষণাগুলো থেকে জানা গিয়েছে, এটা হল সুপারফুড। হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামের একটি উপাদান রয়েছে, যা শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্যে করে। হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিটিউমার, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাছাড়া হলুদ ভিটামিন ও মিনারেলে পরিপূর্ণ। গরম জলে অ্যালোভেরার রস ও হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলেই মিলবে হাজারো উপকারিতা।
যখন আপনি হলুদ ও অ্যালোভেরা একসঙ্গে খান, তখন এর কার্যকারিতা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই সংমিশ্রণটি লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। খালি পেটে হলুদ ও অ্যালোভেরার মিশ্রণ খেলে এটি শরীর থেকে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। এটি হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। পরিপাকতন্ত্রের খেয়াল রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে হলুদ ও অ্যালোভেরা। হলুদ ও অ্যালোভেরার সংমিশ্রণ হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে।
নিয়মিত হলুদ ও অ্যালোভেরা খেয়ে আপনি ওজন কমাতে পারবেন। এটি ওবেসিটির ঝুঁকি কমায়। এতে অনেক রোগের ঝুঁকি কমে যায়। তাছাড়া এই দুটো ভেষজ উপাদানের মধ্যে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। অন্যদিকে, ক্যানসারের কোষকেও বৃদ্ধি হতে দেয় না হলুদ ও অ্যালোভেরার সংমিশ্রণ। সুতরাং, শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে খালি পেটে এই দুটো অবশ্যই খান।