New omicron symptoms: জ্বর-মাথা ব্যথার পাশাপাশি দেখা দিতে পারে এই দুই লক্ষণও! ওমিক্রন নিয়ে নয়া রিপোর্ট বিশেষজ্ঞদের
ক্রমেই বাড়ছে ওমিক্রণ। জ্বর, সর্দির মতো সামান্য লক্ষণ থাকলেও কোনও ভাবেই রোগ সমস্যাকে হালকা ভাবে নেবেন না। যে কোনও মুহূর্তে বাড়তে পারে জটিলতা। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
যে ভাবে ওমিক্রন বাড়ছে তাতে প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বার বার সতর্ক করা হচ্ছে সকলে যাতে যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে চলেন। ওমিক্রন সুনামির জেরে ভেঙে পড়তে পারে স্বাস্থ্যব্যবস্থা,এমনটাও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার থেকেও অনেক বেশি দ্রুত ছড়াচ্ছে। অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগ-লক্ষণ প্রকট না হলেও জ্বর, সর্দি-কাশি, ক্লান্তি এসবের সমস্যা থাকছে। তবে ডেল্টার প্রকোপও এখনও পুরোপুরি কাটেনি। অনেকেই ডেলমিক্রনেও আক্রান্ত হচ্ছেন।
ওমিক্রনের লক্ষণ সাধারণ জ্বর-সর্দির মত হলেও কিন্তু তাকে হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। রোগ-লক্ষণ দু দিনের বেশি থাকলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, অবশ্যি কোভিডের পরীক্ষা করান। ওমিক্রনের লক্ষণের সঙ্গে কোভিড লক্ষণের বেশ কিছু মিল রয়েছে। যদিও শ্বাসকষ্টের সমস্যা, অক্সিজেনের সমস্যা কমে যাওয়া এই রকম কোনও অভিযোগ আসেনি। কিন্তু বর্তমান একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে আরও দুটি নতুন লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। এমনকী যাঁরা টিকা নিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও কিন্তু একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের লক্ষণ খুব একটা জটিল নয়। সর্দি-জ্বর-মাথা ধরার মত সাধারণ উপসর্গগুলিই রয়েছে। এছাড়াও মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, ক্লান্তি বোধ করা, ঘন ঘন হাঁচি, কাশি এসব তো আছেই। আমেরিকায় ZOE কোভিড স্টাডি অ্যাপের প্রধান গবেষক অধ্যাপক টিম স্পেক্টর যেমন জানিয়েছেন, যাঁরা এই রকম রোগ-লক্ষণে ভুগছেন তাঁদের অবিলম্বেই পরীক্ষা করানো দরকার। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, জ্বর-সর্দি-কাশি এবং গন্ধ না পাওয়ার মতো অনুভূতিও থাকছে কিছু জনের মধ্যে। যদিও গন্ধ একেবারেই পাচ্ছেন না, তা নয়। তবুও এই লক্ষণ কিন্তু ওমিক্রন আক্রান্তের ক্ষেত্রে নতুন। সম্প্রতি দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। তবে এই গন্ধের অনুভূতি নেই এমনটাও কিন্তু সবার মধ্যে দেখা যাচ্ছে এমনটা নয়।
এখন যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের অনেকেরই ঘামাচি, শরীরে ব্যথা, রাতে ঘাম হওয়া এই সব সমস্যাও রয়েছে। কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টেও প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় অনেকেই টিকা পাননি। যে কারণে হালকা থেকে মাঝারি সংক্রমণে ভুগেছিলেন অনেকেই। কিন্তু এবার অধিকাংশ মানুষই টিকাপ্রাপ্ত। তবুও কিন্তু তাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। অধ্যাপক স্পেক্টর যেমন আরও জানিয়েছেন, টিকা নেওয়া থাকলেও কিন্তু পড়তে পারেন ওমিক্রনের সংক্রমনে।
ZOE Covid স্টাডি অ্যাপটির মাধ্যে সম্প্রতি আরও দুটি তথ্য সামনে এসেছে। ওমিক্রন আক্রান্তদের ক্লান্তি, জ্বর, মাথাব্যথা ছাড়াও থাকছে ক্ষুধামন্দা, বমি কিংবা বমি বমি ভাবের সমস্যা। ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ এবং বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরও আসছে এই সমস্যা। তবে একবার কোভিডে আক্রান্ত হলেই যে দ্বিতীয়বার আবার সংক্রমণ হবে না এরকম কিন্তু কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু অযথা ভয় পেলে চলবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে ওমিক্রনে পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে এক্ষেত্রে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা একান্ত জরুরি। প্রাথমিক ভাবে উপসর্গ লঘু হলেও যে কোনও সময় কিন্তু তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। বাড়তে পারে সংক্রমণের ঝুঁকিও। যে কারণে মাস্কের ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা এসব খুবই জরুরি।