Mental Health: পয়সা খরচ না করেও মিলবে সুফল! মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে মেনে চলুন এই সেরা ও সহজ ৫ উপায়

এখন চারিপাশে একটা শব্দ বেশ শোনা যায়- ডিপ্রেশন। অবসাদ। উদ্বেগ। সামান্য দুঃখ কষ্টে ভেঙে পড়া, ছোটকাট বিষয় নিয়ে হতাশা, আতঙ্কর মতো সমস্যাগুলি মানুষের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এগুলিই মানসিক স্বাস্থ্যে দারুণ ভাবে প্রভাব পড়ে।

Mental Health: পয়সা খরচ না করেও মিলবে সুফল! মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে মেনে চলুন এই সেরা ও সহজ ৫ উপায়
আজকাল ছোট থেকে বড় সকলেই স্ট্রেসের সমস্যায় ভুগছে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2022 | 7:00 PM

গত দুবছর ধরে দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতি (COVID 19 in India) চলছে। বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন এবারের বাজেটে করোনা অতিমারি (Coronavirous Pandemic) নিয়ে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার। সেই অনুমান সত্যিই হয়েছে। এবারের বাজেটে (Budget 2022)বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। করোনা পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) অবনতির কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। আর সেই অনুযায়ী ন্যাশনাল মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম (National Tele Mental Health Programme) তৈরি করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ ইকোসিস্টেম  চালু হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত সুবিধা পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। বারের বাজেটে যেভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে একাধিক পদক্ষেপ নিলেন অর্থমন্ত্রী, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এখন চারিপাশে একটা শব্দ বেশ শোনা যায়- ডিপ্রেশন। অবসাদ। উদ্বেগ। সামান্য দুঃখ কষ্টে ভেঙে পড়া, ছোটকাট বিষয় নিয়ে হতাশা, আতঙ্কর মতো সমস্যাগুলি মানুষের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এগুলিই মানসিক স্বাস্থ্যে দারুণ ভাবে প্রভাব পড়ে। আজকাল ছোট থেকে বড় সকলেই স্ট্রেসের সমস্যায় ভুগছে। অফিস বা পড়াশোনার ক্ষেত্রে স্ট্রেস, মানসিক বিপর্যয়, বা যেকোনো ধরনের ট্রমাই হোক না কেন – মানসিক স্বাস্থ্য প্রায়ই অন্যান্য শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির মতোই সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

ওষুধ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। কিন্তু সেটাই লক্ষ্য বা চিকিত্সার একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। বিষন্নতা ও উদ্বেগের জন্য ওষুধের পথ ধরে সেগুলিতে ব্যয় করা ছাড়া আর কিছু হয় না। থেরাপি ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে এর সমস্যার সমাধান হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এটি জন্য কোনও অতিরিক্ত খরচ হবে না। নিজেকে সময় দিয়ে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ অনুসরণ করুন।

সক্রিয় থাকুন

একই জায়গায় অনলাইনে ক্লাস বা অফিসের কাজ করে যাওয়ার ফলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। ঘাম ঝরানোর মত কনোও পরিশ্রম না করলেও রোজ হাঁটা, দৌড়নোর সেশন, যোগব্যায়াম, জিমে খানিকটা সময় কাটানো এইভাবে নিজেকে অ্যাক্টিভ থাকার উপায় বের করুন। তাতে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা ও হতাশাজনক বা নেগেটিভ কথাবার্তা থেকে অনেকটা দূরে থাকবেন।

ভাল কিছু করার চেষ্টা করুন

কখনও কখনও আমাদের আত্মসম্মান বৃদ্ধি করা, হতাশাজনক চিন্তাভাবনা এড়াতে কৃতিত্বের অনুভূতি অর্জন করা প্রয়োজন। এর জন্য, আপনি ভালো কিছু করার চেষ্টা করুন। সাফল্য আত্মবিশ্বাসের মাত্রা বাড়াতে পারে। তাতে নতুন শেখার এবং অভিজ্ঞতার পথ খুলে যায়।

আপনি কী খাচ্ছেন তা লক্ষ্য করুন

হতাশা এবং উদ্বেগের সমস্যায় জড়িতরা প্রায়শই স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে যান। তাই চিনি ও ক্যাফিন বা অ্যালকোহলের মত পানী বা খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। খারাপ খাদ্যাভ্যাসের জন্য় বাড়তে পারে মানসিক চাপ। নিয়মিত সবজি খান। রোজ একটা করে মরশুমি ফল খান। সঠিক খাদ্যগ্রহণ শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। যতটা সম্ভব ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। আপনার খাদ্যতালিকায় প্রচুর ফল, সবজি, বাদাম, চর্বিযুক্ত মাছ, বীজ, রুটি, শস্য এবং জল অন্তর্ভুক্ত করুন।

অ্যালকোহল গ্রহণের বিষয়ে সতর্ক থাকুন

অ্যালকোহল মস্তিষ্কের উপর তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে। নেতিবাচক চিন্তাভাবনাগুলিকে অনেকাংশে এড়াতে সাহায্য করে, তবে তা অল্প সময়ের জন্য। একবার প্রভাবটি বন্ধ হয়ে গেলে,ফের একই জায়গায় ফিরে যায়। কখনও কখনও এর বিরূপ প্রভাবও পড়ে। সাময়িক উপশমের জন্য, কেউ কেউ ঘন ঘন অ্যালকোহল পান করেন। তাতে দীর্ঘমেয়াদী মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে পরিণত হতে পারে। মদ্যপান, ধূমপান এমনকি যে কোনও রকম নেশা থেকে দূরে থাকুন। সুস্থ থাকতে চাইলে একেবারে নেশা থেকে বিরত থাকতে হবে।

মনকে শান্ত করার চেষ্টা করুন

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার আরেকটি উপায় হল ধ্যান। মনকে শান্ত করতে শান্ত পরিবেশে বসার চেষ্টা করুন বা সবুজ পরিবেশে বেরিয়ে পড়ুন। বাগান বা পার্ক,যেখানে আপনি পাখির শব্দ শুনতে পারবেন, মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারবেন।

আরও পড়ুন:  Emotional Eating: ইমোশনাল ইটিং কী? মানসিক চাপ ও অপরাধবোধ কাটাতে খাবারের উপর নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে?