Covid Symptoms: কোভিডের উপসর্গ থেকেও রিপোর্ট নেগেটিভ? ওমিক্রন BA.2 জানুন কেন চ্যালেঞ্জিং…
সর্দি, কাশি , জ্বর- অর্থাৎ সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জাও কিন্তু ছোঁয়াচে। তাই এই রকম সমস্যা থাকলে ৫-১০ দিন নিজেকে আইসোলেশনে রাখুন। কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও...
ডেল্টার ( Delta) তুলনায় কয়েকগুণ দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন ( Omicron)। বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে ওমিক্রনের উপসর্গ আর সাধারণ ফ্লু-এর উপসর্গের মধ্যে মিল থাকায় অনেকেই ধন্দে পড়েছেন। সর্দি, কাশির উপসর্গ থাকলে সকলেই যে পরীক্ষা করাচ্ছেন এমন কিন্তু নয়। বরং তাঁরা খুবই হালকাভাবে পুরো ব্যাপারটি নিচ্ছেন। আর এতেই কিন্তু বাড়ছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা। তাই গলা ব্যথা, কাশি,সর্দির সমস্যা থাকা সত্ত্বেও যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তাহলে কিন্তু মোটেও উপেক্ষা নয়। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, অনেকেই শুধুমাত্র Rapid Antigen পরীক্ষা করাচ্ছেন। আর এই পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলেই কোনও রকম নিয়ম মানছেন না। কিন্তু সর্দি, গলা ব্যথার মত সমস্যা থাকলে অবশ্যই আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করান। এবং অন্তত ৫-১০ দিনের জন্য নিজেকে আইসোলশনে রাখুন। চট করে সকলের সঙ্গে মিশে যাবেন না।
প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর তা কিন্তু ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্বে ৫৫ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়ে ওমিক্রন। তবে ওমিক্রনের এই সাবভ্যারিয়েন্ট BA.2 সংক্রমণ ছড়াচ্ছে সবচেয়ে বেশি। আমাদের দেশে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। দিল্লি, গুজরাত, কর্ণাটক-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ত্রাস চালাচ্ছে এই সাব ভ্যারিয়েন্ট। আর ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্টটি কিন্তু সবথেকে বেশি সংক্রামক। এই নতুন সাবভ্যারিয়েন্টকে ( Omicron subvariant BA.2) শনাক্ত করাও বেশ মুশকিলের হয়ে যাচ্ছে। শীতে সর্দি কাশির সমস্যাতে অনেকেই ভোগেন। আর তাই কোভিডের মত গলা ব্যথা, জ্বর, সর্দির উপসর্গ নিয়েও যখন রিপোর্ট পজিটিভ আসছে তখন অনেকেই তা পাত্তা দিচ্ছেন না। আর যে কারণে BA.2 সহজে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। RT-PCR পরীক্ষা বেশিরভাগই এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে কিছুক্ষেত্রে RT-PCR পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে তিনি ওমিক্রন BA.2 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। যেহেতু হাতে সঠিক রিপোর্ট নেই তাই বলা হচ্ছে সকলেই BA.1-আক্রান্ত।
বেশ কিছু গবেষণাতেও দেখা গিয়েছে যেখানে ওমিক্রনের BA.1 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে ১০.৩ % সেখানে ওমিক্রন BA.2-তে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩.৪%। একই পরিবারের একাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই সাবভ্যারিয়েন্টে। যাঁদের কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ সম্পন্ন তাঁরাও কিন্তু আক্রান্ত হয়েছেন এই ভ্যারিয়েন্টে।
বেশ কিছু গবেষণাতেও দেখা গিয়েছে যেখানে ওমিক্রনের BA.1 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে ১০.৩ % সেখানে ওমিক্রন BA.2-তে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩.৪%। একই পরিবারের একাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই সাবভ্যারিয়েন্টে। যাঁদের কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ সম্পন্ন তাঁরাও কিন্তু আক্রান্ত হয়েছেন এই ভ্যারিয়েন্টে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO)-এর তরফে যেমন জানানো হয়েছে ভাইরাসের গতিবিধি নিয়ে সজাগ থাকতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটিকে শনাক্তকরণের জন্য জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস যেমন জানিয়েছেন, ১০ সপ্তাহ আগে যখন প্রথম ওমিক্রন ধরা পড়ে তখন যে পরিমাণ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল পরবর্তীতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটিতে। কোভিডের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি অনেক বেশি সংক্রামক হলেও উপসর্গ কিন্তু হালকাই ছিল। কিন্তু বর্তমানে বেশ কিছু জায়গায়যেমন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তেমনই বেড়েছে মৃত্যু হারও।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।