AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Male infertility: কমছে পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট! এই টিপস মেনে চলুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন

increasing sperm count: জীবনযাত্রায় এত বেশি ভুলভ্রান্তি, মানসিক চাপ- ইত্যাদি কারণে কমছে যৌন মিলনের ইচ্ছাও। তাই প্রথম থেকেই নিজের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন...

Male infertility: কমছে পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট! এই টিপস মেনে চলুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন
যে কারণে পুরুষরা ভুগছেন বন্ধ্যাত্যের সমস্যায়
| Edited By: | Updated on: May 08, 2022 | 7:16 PM
Share

মহিলাদের বন্ধাত্য এবং সেই সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে যতটা না আলোচনা হয় তার সিকিভাগও কিন্তু হয় না পুরুষদের নিয়ে। লকডাউন পরবর্তী সময়ে পুরুষদের মধ্যেও কিন্তু বাড়ছে এই সমস্যা। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। বর্তমান জীবনযাত্রা, মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট কমছে। এছাড়াও কর্মক্ষেক্ষে অতিরিক্ত চাপ কমিয়ে দিয়েছে যৌনতার আকাঙ্খাও। যেখান থেকে পুরুষরা ভুগছেন নানাবিধ সমস্যায়। ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা সবচাইতে বেশি। আর তাই এখনই সচেতন না হলে ভবিষ্যতে বহুরকম অসুবিধে এবং প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন পুরুষরা। আজকালকার বেশ্রভাগ ছেলেরই খাদ্যাভ্যাস ভীষণ রকম অস্বাস্থ্যকর। বিরিয়ানি, কোল্ডড্রিংক, চিকেন-সমস্ত হাইক্যালোরির খাবাক বেশি পরিমাণে খান। তুলনায় পাইবার বা অন্যান্য পুষ্টি অনেকটাই কম থাকে। যে কারণে অনেকেই অপুষ্টি জনিত সমস্যায ভোগেন। সেখান থেকেও কিন্তু আসে এই ইনফার্টিলিটির সমস্যা।

কেন এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর জন্য কিন্তু দায়ী আমাদের জীবনযাত্রা। জীবনযাত্রায় এত বেশি ভুলভ্রান্তি, মানসিক চাপ- ইত্যাদি কারণে কমছে যৌন মিলনের ইচ্ছাও। এছাড়াও ইরেকটাইল ডিসঅর্ডার, জেনিটাল আলসার, প্রোস্টেটের সমস্যাতেও অনেকে ভুগছেন। দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ কোলে বসিয়ে কাজ করলেও আসতে পারে এরকম সমস্যা। আর অতিরিক্ত মানসিক চাহিদা, অর্থনৈতিক চাপ থেকে ছেলেদের শরীরেও কমে যাচ্ছে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ। ফলে স্পার্ম কম তৈরি হচ্ছে। সারাদিন কাজের পর পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ থাকে না বলে বিরক্তিও বাড়ছে। শরীরে বিরক্তি নিয়ে ঘুম ঠিকমতো হয় না। ঘুম না হলেই সামগ্রিক স্বাস্থ্যে তার প্রভাব পড়বেই। সুগার, প্রেসার, কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আজকাল খুব কম বয়স থেকে ছেলেরাও ডায়াবেটিসের শিকার হচ্ছেন। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। মোটকথা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন না আনলে কোনও ভাবেই সুস্থ থাকা যাবে না। আর তাই যে সব নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে-

যৌনরোগ থাকলে (Sexually Transmitted Diseases)

নিয়মিত ভাবে কিছু পরীক্ষা করানো জরুরি। HIV, সিফিলিস, হারপিস হয়েছে কিনা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। এখান থেকেও আসতে পারে একাধিক সমস্যা। আর তাই এই রকম সমস্যা হলে সেক্সের সময় কনডোম অবশ্যই ব্যবহার করুন। এতে অন্য কোনও সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকখানি কমে যায়।

ধূমপান 

ধূমপান, মদ্যপান একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। সিগারেটের মধ্য্কার নিকোটিন কমিয়ে দেয় স্পার্ম কাউন্ট। আর তাই আজই সিগারেট ছাড়ুন।

পরিচ্ছন্নতা জরুরি 

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে নিজের মন ভাল থাকে, শরীর ভাল থাকে। মন বসে কাজেও। তাই নিয়মিত নিজেকে পরিষ্কার রাখুন। বেডশিট থেকে অর্ন্তবাস সব নি.ম করে কাচুন। প্রতিদিন স্নান করুন। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। অন্য কোনও চর্মরোগ বা সংক্রামক ব্যাধির সম্ভাবনা থাকবে না।

ফাস্টফুড কম খান

বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবর্তে বাড়িতে শাক-সবজি ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। নিয়ম করে ফল খান। ভিটামিন-সি রয়েছে এরকম ফলের সংখ্যা বাড়ান রোজকার খাদ্য তালিকায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। এতে যৌন ইচ্ছা জাগে।