AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sleep Problem: টানা ৭২ ঘণ্টা ঘুমোননি, আপনার শরীর আর মনের কী অবস্থা হবে জানেন তো?

Health Tips: কম ঘুমের কারণ অনেক কিছু হতে পারে। অনিদ্রা, উদ্বেগ, অতিরিক্ত কাজের চাপ, হাই ব্লাডপ্রেসার থেকে এই সমস্যা হতেই পারে। অনেকের জেট ল্যাগের কারণেও ঘুমের উপর প্রভাব পড়ে

Sleep Problem: টানা ৭২ ঘণ্টা ঘুমোননি, আপনার শরীর আর মনের কী অবস্থা হবে জানেন তো?
ঘুম কম হলেই যা হবে
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2023 | 11:43 AM
Share

আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য হল ঘুম। মানসিক স্বাস্থ্য, শরীর এবং জীবনের সব দিকে ব্যালেন্স করে চলতে হলে ঘুমের থেকে প্রয়োজনীয় আর কিছুই নেই। এই ঘুম আর বিশ্রাম খুঁজে পাওয়াটাও এখন চ্যালেঞ্জ। সারারাত জেগে বেলা পর্যন্ত ঘুমনো এখন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার কাজের প্রয়োজনে অনেককেই রাতের পর রাত জেগে কাটাতে হয়। এতে ঘুমের যে পরিমাণ ঘাটতি থেকে যায় তা সারাদিন ঘুমিয়েও পূরণ করা যায় না। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা এই ঘুম নিয়ে একটি কড়া বার্তা দিয়েছেন। যেখানে তাঁরা বলেছেন ঘুম কম হলে বা পর পর টানা তিনদিন না ঘুমোলে সেখান থেকে শরীরে একাধিক পরিবর্তন আসে। আর এই কম ঘুম আমাদের শরীরে বড় প্রভাব ফেলার পাশাপাশি মানসিক ভাবেও বিধ্বস্ত করে দিতে পারে। ২৪ ঘণ্টার বেশি জেগে থাকলেই ক্লান্তির লক্ষণ প্রকট হয়। এমনকী টানা ২৪ ঘণ্টার বেশি কাজ করাও ঠিক নয়। নিয়মিত ভাবে এই কম ঘুম থেকেই ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ডিপ্রেশন এসব চেপে বসে শরীরে।

কম ঘুমে আমাদের মস্তিষ্কেও সঠিক পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছয় না। এর ফলে স্টেম সেলে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে মস্তিষ্কে বায়ুর চলাচল অনেক কম হয়। সেই সঙ্গে ফুসফুসের উপর চাপ বেশি পড়ে তার অবস্থাও জটিল হয়। বলা ভাল ফুসফুসের জটিলতার সম্ভাবনা বাড়ে। ঘুম কম হলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়। সেই সঙ্গে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। হঠাৎ রাগ হয়ে যেতে পারে।

কম ঘুমের কারণ অনেক কিছু হতে পারে। অনিদ্রা, উদ্বেগ, অতিরিক্ত কাজের চাপ, হাই ব্লাডপ্রেসার থেকে এই সমস্যা হতেই পারে। অনেকের জেট ল্যাগের কারণেও ঘুমের উপর প্রভাব পড়ে। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস তো থাকেই। আর তাই ঘুমের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হলে প্রথমেই যা করতে হবে তা হল রোজকার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। এতে শরীর থেকে যে হ্যাপি হরমোন নির্গত হয় তা ভাল ঘুমের কারণ। চা, কফি আর মিষ্টি জীবন থেকে একেবারেই বাদ দিয়ে দিতে হবে। ধূমপান চিরতরে বর্জন করুন। রাতে ঘুমোতে যাোয়ার আগে অন্তত ১০ মিনিট মেডিটেশন করলেও ঘুম ভাল আসে।

নিয়মিত ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সময় সেট করে রাখুন। আর ঘড়ি ধরে সেই সময়েই ঘুমোতে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

সকালে রোজ একই সময়ে ঘুম থেকে উঠতে হবে।

যে ঘরে ঘুমোবেন সেই গরের রং, বেডশিট হালকা রাখুন। ঘরে হালকা আলোও জ্বেলে রাখবেন না। ঘর যেন শান্ত শীতল থাকে।

যে ঘরে ঘুমোবেন সেই ঘরে মোবাইল বা উত্তেজক কোনও কিছু রাখবেন না। ঠিক ঘুমোতে যাওয়ার আগেই লম্বা একটা শ্বাস নিতে হবে।