Cerebral palsy: সেরিব্রাল পলসিতে দীর্ঘদিন ভোগার পর মৃত্যু মাইক্রোসফটের এই শীর্ষকর্তার পুত্রর! রোগ সম্বন্ধে বিস্তারিত জানা আছে কি?
Pregnancy and Cerebral palsy: গর্ভাবস্থায় প্রথম থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা, আলট্রা সাউন্ড সবই করাতে হবে। যদি পরিবারে আগে থেকেই এমন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কিন্তু আগে থেকেই সাবধান থাকুন
মাইক্রোসফটের চিফ এক্জিকিউটিভ অফিসর ( Chief Executive Officer) সত্য নাদোলার পুত্র জেন (Zain) জন্ম থেকেই সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত ছিলেন। ২৬ বছর বয়সে গত সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর। সংস্থার কর্মীদদের কাছে ই-মেল মারফত বার্তা পাঠিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এই কয়েকটা দিন তাঁদের পরিবারের পাশে থাকতে, তাঁদের একটু ব্যক্তিগত জায়গা দিতে। মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক বিকাশ বা মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণে একটি শিশু তার পেশি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যা সেরিব্রাল পলসি (cerebral palsy)নামে পরিচিত।
সেরিব্রাল পলসি (সিপি) হল এক রকম পেশির অঙ্গবিন্যাস ব্যাধি, যা পেশীর আন্দোলনকে প্রভাবিত করে। এই ব্যাধিটি সাধারণত জন্মের আগে মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে হয়। ‘সেরিব্রাল’ মানে মস্তিষ্কের সম্পৃক্ততা, এবং ‘পলসি’ মানে দুর্বলতা বা পেশী ব্যবহারে সমস্যা।
সাধারণত ছোট বাচ্চাদের মধ্যে এই ব্যাধির লক্ষণ দেখা যায়। সাধারণত, সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত শিশুদের দুটির বেশি উপসর্গ দেখা যায়, যেমন পেশির দুর্বলতা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অস্বাভাবিকতা বা শরীরের গঠন অস্বাভাবিক হওয়া ইত্যাদি। কিছু কিছু শিশুর ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা না হলে লক্ষণগুলি গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে যায়। সেরিব্রাল পলসির ক্ষেত্রে অনেকসময়ই নির্দিষ্ট কোনও কারণ জানা যায় না। একটি ছোট অংশে মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক বিকাশ বা জন্মের ২৮ দিনের পর যদি মস্তিষ্কে কোনও সমস্যা হয় , আঘাত পায় কিংবা মেনিনজাইটিস হয় সেখান থেকেও কিন্তু হতে পারে এই সমস্যা। এই সমস্যায় শিশুরা একদম নড়াচড়া করতে পারে না, বুদ্ধির বিকাশ হয় না, সঙ্গে খিঁচুনি এবং একাধিক শারীরিক সমস্যাও থাকে। যে কারণে তারা অনেক দিক থেকেই অক্ষম হয়ে যায়।
তবে থাইরেডের সমস্যা, খিঁচুনি, জোরালো ভাইরাসের সংক্রমণ , চিকেন পক্স, বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বা প্রজননে কোনও সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও আসতে পারে সেরিব্রাল পলসির সমস্যা। ডাঃ অমর সিং চুন্দাওয়াত, যেমন বলেন গর্ভাবস্থায় এসব সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও আসতে পারে সেরিব্রাল পলসির মত সমস্যা।
গর্ভাবস্থায় যে সব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে-
বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় বিকাশ জনিত কোনও ব্যধি শনাক্ত করা যায় না। যদিও এখন অনেক রকম পরীক্ষা রয়েছে। অনেক ভাবেই রোগ শনাক্ত করা যায়। কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের সব সময় হাত ধোয়া, হাত পরিষ্কার রাখা, কোনও রকম নেশা থেকে দূরে থাকা, সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতীত কোনও রকম ওষুধ খাওয়া যাবে না।
খুব গুরুতর অবস্থা না হলে ছয় মাসের কম সময়ে গর্ভস্থ শিশুদের রোগ নির্ণয় করা যায় না। তবে বিকাশ যদি কোনও কারণে ব্যহত হয়, পেশির ক্ষেত্রে যদি কোনও পরিবর্তন হয়, অস্বাভাবিক কিছু দেখলে প্রথম থেকেই সতর্ক হতে হবে। নিয়ম করে আলট্রা সাউন্ড করতে হবে। যদি পরিবারে আগে কেউ এঅ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রেও সচেতন থাকতে হবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।