High cholesterol: রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক কতখানি থাকলে দূরে থাকবে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সম্ভাবনা?
Cholesterol Problem: রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ে নিঃশব্দেই। নিয়মিত পরীক্ষা না করালে আপনি তা বুঝতেও পারবেন না। তাই বছরে অন্তত দুবার কোলেস্টেরলের পরীক্ষা করাতেই হবে
খাদ্যাভ্যাস আর জীবনযাত্রার কারণে কোলেস্টেরল বাড়ছে একথা সকলেই জানেন। তবুও বাড়ছে না সচেতনতা। যতই এই বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন, চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া হোক না কেন মানুষ যদি নিজের ভাল না বোঝেন তাহলে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। রক্তেই থাকে কোলেস্টেরল। তবে সব কোলেস্টেরল যে শরীরের পক্ষে খারাপ এরকম নয়। বেশ কিছু ভাল কোলেস্টেরলও থাকে। আর কোলেস্টেরল শরীরের একাধিক কাজে লাগে। কোষের মেমব্রেন গঠনে ভূমিকা রয়েছে কোলেস্টেরলের। শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা।সামান্য হেঁটেই যদি পা ব্যথা হয় তাহলেও কিন্তু সাবধান। হতে পারে কোলেস্টেরলের সমস্যা।
রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ে নিঃশব্দেই। নিয়মিত পরীক্ষা না করালে আপনি তা বুঝতেও পারবেন না। কোলেস্টেরল বাড়তে শুরু করলে তা রক্তনালীর দেওয়ালে জমতে শুরু করে। কোলেস্টেরল জমতে শুরু করলেই বাড়ে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা। হতে পারে কিডনির সমস্যাও। তাই প্রতিটি মানুষকেই এই কোলেস্টেরল নিয়ে সচেতন হতে হবে। কোলেস্টেরলের জন্য এতগুলি রোগের আশঙ্কা বাড়লেও বহু মানুষ এর স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে কোনও খবরই রাখেন না। এই কারণেই সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বাড়ে। তাই আর দেরি না করে অবশ্যই এই বিষয়টি জেনে নেওয়াই ভালো। তবেই ভালো থাকা যাবে।
শরীরে স্বাভাবিক কোলেস্ট্রলের মাত্রা-
শরীরে দু ধরণের কোলেস্টেরল থাকে। LDLও HDL। এলডিএল হল খারাপ কোলেস্টেরল। শরীরে LDL কোলেস্টেরল শরীরে ১০০ নীচে থাকলে ভাল। অন্যদিকে HDL-রক্তে থাকা ভাল। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই কোলেস্টেরলের মাত্রা ৫০ এর বেশি এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬০-এর বেশি থাকা খুবই জরুরি। আর তাই বছরে অন্তত দু বার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া খুব জরুরি। আচমকা হার্ট অ্যাটাকের জন্যও কিন্তু দায়ী এই কোলেস্টেরল। খুব কম বয়সীদের মধ্যেও আজকাল দেখা দিচ্ছে হার্ট অ্যাটাকের মত সমস্যা। আর তাই সচেতন হওয়া খুব জরুরি।
কোলেস্টেরল ঠেকাতে যে সব নিয়ম মেনে চলতেই হবে-
তেল-মশলা, রেড মিট, চিনি, বড় মাছ, মাছের তেলের থেকে সমস্যা হতে পারে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থেকেও দূরে থাকুন। শাক-সবজি বেশি করে খান। সেই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সম়দ্ধ খাবার, ফাইবার এসবও বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
যে কোনও বয়সের মানুষের জন্যই শরীরচর্চা খুব জরুরি। রোজ নিয়ম করে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতেই হবে। বাড়ির কাজে যে পরিশ্রম আর হাঁটাচলা হয় তার সঙ্গে রোজকার শরীরচর্চার ফারাক রয়েছে। তাই নিয়ম মেনে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতেই হবে। এতে শরীর থাকবে সচল। হার্ট, কিডনি, লিভার সবই থাকবে সুস্থ।
মদ্যপান, ধূমপান একেবারেই নয়। দিনে দুটো সিগারেট কিংবা সপ্তাহে একদিন মদ্যপানও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই সতর্ক থাকুন। মেনে চলুন চিকিৎসকের পরামর্শ
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।