Sweaty around Vagina: যোনি অঞ্চলের চারপাশে খুব ঘাম হয়? যে টোটকায় মেনে চলবেন মহিলারা
Women Health: বর্ষার সঙ্গে একাধিক রোগের সংক্রমণ দেখা দেয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি। যৌনাঙ্গের চারপাশে ঘাম জমে। সেখান থেকে ইস্ট সংক্রমণ, চুলকানি, ঘা দেখা দেয়। এসব রোগের সম্ভাবনা এড়াতে মেনে চলুন এই সব টিপস।
পুরোদমে বর্ষার দেখা নেই দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই এক পশলা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে। বর্ষা মানেই প্যাচেপ্যাচে কাদা আর জল। এই মরশুমেই সবচেয়ে বেশি রোগের ঝুঁকি দেখা যায়। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে মহিলাদেরও। বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতা বেশি থাকে। তাই মহিলাদের যৌনাঙ্গের আশেপাশে ঘাম বেশি হয়। এই ঘাম হওয়ার জন্যও অনেক সময় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। যদিও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যাজাইনার আশেপাশে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এমনটা হওয়ার পিছনেও বেশ কিছু কারণ থাকে।
ভ্যাজাইনার আশেপাশে ঘাম হওয়ার কারণ-
আপনি যদি শারীরিকভাবে সক্রিয় হন, তাহলে ঘাম বেশি হয়। অনেক সময় ওয়ার্ক আউট করলে, শরীরচর্চা করলে ঘাম বেশি হয়। আবার অনেক সময় তাপমাত্রা বেশি হলে ঘাম হয়। অনেক ক্ষেত্রে হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও ভ্যাজাইনার চারপাশে ঘাম তৈরি করে। এটা মূলত ঋতুস্রাবের সময় দেখা দেয়। আবার মানসিক চাপ, অ্যানজাইটিও গোপনাঙ্গে ঘাম বাড়িয়ে তোলে।
বর্ষায় যে উপায়ে যোনি অঞ্চলের খেয়াল রাখবেন-
বর্ষায় ইস্ট সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়। এই ইস্ট সংক্রমণ থেকেই নারীদেহে নানা রোগের উৎপত্তি হয়। ঋতুস্রাবের সময় এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। ঘাম থেকে এই সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই যোনির চারপাশে যাতে ঘাম না জমে তাই জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। তারপর টিস্যু দিয়ে শুকনো করে মুছে নিন। যোনির চারপাশে ভেজা অবস্থায় রাখবেন না।
ঋতুস্রাবের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর স্যানিটরি প্যাড, ট্যাম্পন পরিবর্তন করুন। মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। ভুলেও কাপড় ব্যবহার করবেন না। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
আঁটোসাঁটো পোশাক পরবেন না। এতে যোনির চারপাশে ঘাম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পাশাপাশি চুলকানিও হয়। তাই ঢিলে পোশাক পরুন। এতে বায়ু চলাচল ভাল থাকবে। পরিষ্কার অন্তর্বাস পরুন।
শুধু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি ডায়েটের দিকেও খেয়াল রাখুন। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। জলের পাশাপাশি বাটারমিল্ক পান করতে পারেন। ডায়েটে টক দই খান। টক দই দারুণ প্রোবায়োটিক। এটি যৌনাঙ্গের সংক্রমণ থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।