কেন কিছু মানুষ অতিরিক্ত বেশি কথা বলেন, কারণ জানলে অবাক হবেন?
কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা অতিরিক্ত বেশি কথা বলেন। তাঁদের অনেক সময় অনেক ধরনের সমস্যাতেও পড়তে হয়।
মনের ভাব ব্যক্ত করার জন্য কথা খুব জরুরি। খোলাখুলি আলোচনা বা কথোপকথন অনেক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা অতিরিক্ত বেশি কথা বলেন। তাঁদের অনেক সময় অনেক ধরনের সমস্যাতেও পড়তে হয়। এই সমাধানের জন্য কারণ জানা খুবই দরকার। জেনে নিন ঠিক কী কী কারণে বেশি কথা বলেন মানুষ –
১. কিছু মানুষ নিজের ব্যাপারে বলতে গিয়ে অনেক বেশি কথা বলে ফেলেন। একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নিজেদের ব্যাপারে কথা বলার সময় আমাদের মস্তিষ্ক থেকে ডোপামাইন হরমোন নিঃসরিত হয়। তাতে আনন্দ অনুভব করে মানুষ। তাই বেশি কথা বলে ফেলেন। বলা ভাল, নিজের ঢাক নিজেই পিটিয়ে ফেলেন।
২. অনেকে নিজের জ্ঞানের পরিধি জাহির করার জন্য অনেক বেশি কথা বলে ফেলেন। এতে হিতে বিপরীত হয়। অনেকেই বিষয়টিকে খারাপভাবে দেখেন। কারও কারও ক্ষেত্রে জোটে ‘সবজান্তা’র তকমাও।
৩. দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে গেলেও মানুষ বেশি কথা বলতে শুরু করতে পারেন। কিন্তু এটা সবসময় হয় না। কিছু মানুষ নার্ভাস হয়ে গেলে বেশি কথা বলতে শুরু করে দেন। এর চিকিৎসা আছে। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়লেই সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে পারেন।
৪. অনেকে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে কথা বলেন। এমনটা মনের দোনামোনাভাব থেকে তৈরি হতে পারে। ধরুন আপনি কথা বলতে শুরু করেছিলেন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে। কিন্তু দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। এটা তখনই হয় যখন মানসিকভাবে আপনি চঞ্চল কিংবা মনযোগের অভাব।
৫. নিস্তব্ধতা অনেকেরই পছন্দ। কিন্তু এমন মানুষ আছেন, যাঁদের চুপচাপ পরিবেশ একেবারেই পছন্দ নয়। তাঁরা সারাক্ষণই কথা বলে যান। কোনও শান্ত পরিবেশেও অনর্গল কথা বলতে থাকেন। এরকম মানুষকে অন্যরা এড়িয়ে চলতেই বেশি পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন: Menopause: মেনোপজ নিয়ে চিন্তিত? আপনার জন্য রইল কিছু ঘরোয়া উপায়
আরও পড়ুন: Chikungunya fever:অতিমারির মধ্যেই বাড়ছে চিকুনগুনিয়া রোগ! ঘরে ও বাইরে মশার উপদ্রব কমাবেন কীভাবে?