World Blood Donor Day: রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, তা জেনে নিন
করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের পাশাপাশি মানবশরীরে অপরিহার্য হল রক্ত। আর তাই বিশ্ব রক্তদান দিবসে রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা ও সচেতনতা নিয়ে ফের একবার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কথাতেই রয়েছে, রক্তদান জীবনদান। প্রতিদিন সারা বিশ্বে রক্তের অভাবে কত মানুষ প্রাণ গেলেও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। ২০০৪ সালের ১৪ জুন, এই দিনটিতে পালিত হয় রক্তদান দিবস হিসেবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথায়, রক্তদানের ফলে বহু মানুষের জীবন বাঁচতে পারে। অনেকসময় রক্তক্ষরণ বেশি হলে রোগীকে রক্ত দিলেও বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে যায়। প্রাণঘাতী পরিস্থিতিতে রোগীকে রক্তদানের মাধ্যমে বাঁচানো সম্ভব হয়। তবে এটাও জেনে রাখা দরকার যে রক্তদান কেবলমাত্র জীবন বাঁচাতেই সাহায্য করে না, রক্তদাতার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীও বটে।
ওজন হ্রাস- সময়মতো রক্তদান করলে ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। বয়স্কদের শরীর সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে। ক্যালিফোর্নিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, ৪৫০ মিলি রক্তদান করলে শরীর থেকে প্রায় ৬৫০ ক্যালোরি হ্রাস পায়। তবে ওজন কমানোর জন্য রক্তদানকে বিকল্প উপায় হিসেবে ভাবা একেবারেই উচিত নয়। স্বাস্থ্যসম্পর্কিত সমস্যা এড়িয়ে রক্ত দেওয়ার আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
হেমোক্রোম্যাটোসিস প্রতিরোধ করা- রক্তদান শরীরে হেমোক্রোম্যাটোসিসের বিকাশের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় । দেহে আয়রন মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে কমে গেলে হেমোক্রোমাটোসিসে আক্রান্ত হয় মানুষ।
আরও পড়ুন: World Blood Donor Day 2021: অতিমারিতে রক্তের আকাল,করোনা আক্রান্ত হলে রক্তদান কি সম্ভব?
হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়- নিয়মিত রক্তদানের ফলে শরীরে আয়রনের মাত্রা ঠিক থাকে। এর জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। দেহে প্রচুর পরিমাণে আয়রন তৈরি হলে অক্সিডেটিভের সমস্যা তৈরি হয়। এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো বাড়তে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়- শরীরে উচ্চমাত্রার আয়রন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। রক্তদানের মাধ্যমে শরীরে স্বাস্থ্যকর আয়রনের স্তর বজায় থাকে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কম হয়।
নতুন রক্তকোষের উত্পাদন বৃদ্ধি- রক্তদান করলে নতুন রক্তকোষের উত্পাদনকে উদ্দীপিত করে। রক্তদানের পরে, শরীরের অস্থিমজ্জার সাহায্যে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের রক্তকোষ তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। নতুন রক্তকণিকা তৈরি হয় ও ৩০-৬০দিনের মধ্যে ফের লোহিত রক্তকণিকা প্রতিস্থাপন হওয়া শুরু হয়। সুতরাং, শরীরকে সুস্থ রাখতে ও স্বাস্থ্যকর বজায় রাখতে রক্তদান অত্যন্ত গুরুপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।