World Safety and Health at Work Day 2022: আপনার কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে তো? এখনই নিশ্চিত হন
Safety and Health at Work: আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা এড়াতে ও রোগ প্রতিরোধের জন্য ২০০৩ সালে প্রথম এই দিন পালন করা শুরু করে।
প্রতি বছর, ২৮ এপ্রিল কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়। কর্মস্থলে দুর্ঘটনা এড়ানোর, কোনও রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং পেশাগত রোগ প্রতিরোধের (Health Tips) জন্য বিশ্বজুড়ে আজকের এই দিনটি পালিত হয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা এড়াতে ও রোগ প্রতিরোধের জন্য ২০০৩ সালে প্রথম এই দিন পালন করা শুরু করে। সেই থেকে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক-কর্মীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই সূচনা হয়েছিল আজকের দিনটির। আজকের এই দিনটিতে অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (ওএসএইচ) ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের উপর লক্ষ্য করা হয়েছে।
আমরা সবাই দিনের বেশির ভাগ সময় আমাদের কর্মক্ষেত্রে কাটাই। কারোর পেশা এমনই যেখানে রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। কর্মক্ষেত্র আমাদের সকলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। যেমন কাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ দরকার, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল পরিবেশ চাই কর্মক্ষেত্রে। এই বিষয়ে বহু মানুষের মধ্যে এখনও সচেতনতার অভাব রয়ে গিয়েছে। এই কারণেই আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা সর্বপ্রথম এই দিনটির ঘোষণা এবং বাস্তবায়ন করে। এই দিনটির মূল লক্ষ্য হল জনসাধারণের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
কিন্তু কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা একদিনে মানুষের মধ্যে বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। আর যেখানে দিনের বেশিভাগ সময় আমরা কাটাই, সেই জায়গাটাকেও ভালবাসা দরকার। এই সচেতনতা এবং এর বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব যখন আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করব। একটি সমাজ গড়ে তুলতে যেমন প্রত্যেকটি মানুষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তেমনই কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তুলতে ওই কর্মক্ষেত্রের ছোট-বড় প্রত্যেকটি মানুষকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই কারণে এই বছরের থিম, ‘একটি ইতিবাচক নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সংস্কৃতি গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করা’।
স্বাস্থ্য সচেতনতা মানে শুধু শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, এর মধ্যে জড়িত রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য। কর্মক্ষেত্রে এই দু’টো স্বাস্থ্য সম্পর্কেই সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। কাজ করতে গিয়ে কারও শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয়, কারও মানসিক। তাই এই বিষয়টি উপেক্ষা করলে চলবে না। এমন কিছু-কিছু কাজ থাকে, যেখানে মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে। এই বিষয়ে কোনও রকম গালিফতি যেন না হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ৪০ ডিগ্রিতে রয়েছে হিট ক্র্যাম্পের ঝুঁকিও! কীভাবে এড়াবেন পেশির সমস্যা?
আরও পড়ুন: ঋতুস্রাবের সময় গোপনাঙ্গে র্যাশ বেরোচ্ছে, গরমে কীভাবে স্যানিটরি প্যাড ব্যবহার করবেন?
আরও পড়ুন: প্রখর রোদে জ্বলছে চোখ! অন্ধত্বের ঝুঁকি এড়াতে কী করবেন?