Online Scam: কাজ শুধু মোবাইল চালু রাখা, আর তাতেই ৮৫৪ কোটির প্রতারণা!
Fraud Case: ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী পুলিশের কাছে প্রতারণার অভিযোগ জানায়। তিনি জানান যে প্রথমে অ্যাপ ও পরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। অল্প টাকা বিনিয়োগ করলেই মোটা অঙ্কের রিটার্ন পাওয়া যাব-এই প্রলোভনে পা দিয়েই তিনি সাড়ে আট লক্ষ টাকা খোয়ান।
বেঙ্গালুরু: এক কামরার একটা ছোট্ট ঘর। সেখানেই চলত অনামী এক সংস্থা। কারা চালাতেন সেই সংস্থা? ৩৩ বছরের এক এমবিএ গ্রাজুয়েট ও ৩৬ বছর বয়সী এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। দুই বছরে দুই যুবককে কাজেও রেখেছিলেন। তাদের কাজ ছিল, শুধুমাত্র দিনভর আটটি মোবাইলকে সচল রাখা। কী কাজ হত ওই অফিসে, জানতেন না আশেপাশের কেউই। হঠাৎ পুলিশি হানা, গ্রেফতারি। তারপর জানা গেল, ওই অফিসে বসেই নাকি গোটা দেশকে প্রতারিত করছিল ৪ জন। দুর্নীতির অঙ্ক শুনলে চোখ কপালে উঠবে। মোট ৮৫৪ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল।
বেঙ্গালুরুর ইলাহাঙ্কার এক বেডরুমের কামরাই ছিল দুর্নীতির আখড়া। গত সেপ্টেম্বর মাসেই বেঙ্গালুরুর সাইবার ক্রাইম পুলিশ মনোজ শ্রীনিবাস, ফনীন্দ্র কে নামক দুই যুবক ও তাদের ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তদন্তে নেমে জানা যায়, অল্প টাকা বিনিয়োগ করেই বিপুল অর্থ আয়ের টোপ দিয়েই সাধারণ মানুষকে প্রতারণার জালে ফাঁসাতো অভিযুক্তরা।
সম্প্রতি ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী পুলিশের কাছে প্রতারণার অভিযোগ জানায়। তিনি জানান যে প্রথমে অ্যাপ ও পরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। অল্প টাকা বিনিয়োগ করলেই মোটা অঙ্কের রিটার্ন পাওয়া যাব-এই প্রলোভনে পা দিয়েই তিনি সাড়ে আট লক্ষ টাকা খোয়ান।
এরপরই তদন্তে নামে বেঙ্গালুরু পুলিশ। দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর পুলিশরা এসে পৌঁছয় ওই এক কামরার ফ্ল্যাটেই। ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, বিগত দুই বছরে ৮৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্য়মে ৮৫৪ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। তল্লাশি চালিয়ে মাত্র ৫ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তদন্ত করে জানা যায়, এক একটি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টের বিরুদ্ধে ৫১০৩টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এরমধ্যে ১৭টি মামলা বেঙ্গালুরু থেকে, কর্নাটক থেকে ৪৮৭টি, তেলঙ্গানায় ৭১৯টি, গুজরাটে ৬৪২টি ও উত্তর প্রদেশ থেকে ৫০৫টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।