Telangana: সমানে বমি, গোলাচ্ছে গা, হস্টেলে নৈশভোজের পরই বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৭ শিশু

27 Children Hospitalised In Telangana: স্কুলের হোস্টেলের খাবারেই হল বিষক্রিয়া। যার জেরে তেলেঙ্গনার আদিলাবাদের অন্তত ২৭ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

Telangana: সমানে বমি, গোলাচ্ছে গা, হস্টেলে নৈশভোজের পরই বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৭ শিশু
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2022 | 4:17 PM

মুম্বই: স্কুলের হোস্টেলের খাবারেই হল বিষক্রিয়া। যার জেরে তেলেঙ্গনার আদিলাবাদের অন্তত ২৭ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তাদের সকলের দেহেই রয়েছে একই ধরণের উপসর্গ – গা গোলাচ্ছে, সঙ্গে বারবার বমি হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এগুলি খাদ্যে বিষক্রিয়ার উপসর্গ। আদিলাবাদের জেলাশাসক প্রবাকতর রেড্ডি বলেছেন, “গত রাতে কাগা নগর মাইনরিটি বয়েজ় হস্টেল গুরুকূলের ২৭ জন ছাত্রকে, বমি ও গা গোলানো ভাব নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এবং আমরাও বিষয়টি তদন্ত করছি।”

বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই হোস্টেলে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী নেই। তাই রান্নার আগে যে ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন, তা মানা হচ্ছে না। সোমবার রাতের ঘটনার পিছনেও রান্নাঘরের কর্মীদের গাফিলতিকেই দায়ি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে রান্নার আগে চাল এবং অন্যান্য শস্য ধোয়া হয়নি। রাতের খাওয়ার পরই একের পর এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। বারবার করে বমি করতে থাকায়, তাদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অনুমান করা হচ্ছে, চাল ও শস্যাদি না ধোয়ার ফলে সেগুলিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক সার, কীটনাশকের মতো বিষাক্ত জিনিস থেকে গিয়েছিল। এই বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে। গাফিলতি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, রবিবারই উত্তর প্রদেশের হারদোইয়ে প্রায় একই রকমের এক ঘটনা ঘটেছিল। ওইদিন ‘কস্তুরবা গান্ধী আওয়াসিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের’ ছাত্রীদের ‘পিহানি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে’ আয়োজিত এক স্বাস্থ্য শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য শিবির থেকে ফিরে আসার পরই, ৩৮ জন ছাত্রী বমি বমি ভাব এবং পেটে ব্যথার অভিযোগ করেছিল। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালে ভুল ওষুধ দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাতী শুক্লা বলেছেন, “অসুস্থ ৩৮ জনের মধ্যে চিকিত্সার পর সুস্থ হয়ে গিয়েছে ৩২ জন। তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ছয় শিশুকে আরও চিকিৎসার জন্য সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।”