থরে থরে সাজানো কোভিশিল্ড, রেমডেসিভির! ব্যাগ খুলতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ, ধৃত ৩ পাচারকারী
COVID Medicine and Vaccine Smugling: নিয়মমাফিকই রুটিন চেকিং চলছিল জাতীয় সড়কে। তার পাশেই অবস্থিত হেজিগাঙ্গসুপার মাার্কেটের পাশে সন্দেহজনকভাবে গাড়িটি ঘোরাফেরা করতে দেখায় পুলিশ গাড়িটিকে আটক করে।
ইম্ফল: ভ্যাকসিন জালিয়াতির পর এ বার পাচার (Smuggling)। করোনা ভ্যাকসিন (COVID-19 Vaccine) ও করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ (COVID Medicine) ভিন দেশে পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ল তিন যুবক। ওই ওষুধ ও ভ্যাকসিনগুলি আসল কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবারই মণিপুর (Manipur) থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই তিন যুবককে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ কোভিশিল্ড (Covishield) ও রেমডেসিভির (Remdesivir) সহ একাধিক ওষুধ উদ্ধার করে মণিপুর পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হলে শুক্রবার অবধি পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশই দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, রবিবার নিয়মমাফিকই রুটিন চেকিং চলছিল জাতীয় সড়কে। তার পাশেই অবস্থিত হেজিগাঙ্গসুপার মাার্কেটের পাশে সন্দেহজনকভাবে গাড়িটি ঘোরাফেরা করতে দেখায় পুলিশ গাড়িটিকে আটক করে। গাড়ির যাত্রীরা নানা বাহানা দিতে শুরু করলেই পুলিশের সন্দেহ হয়, জোর করে খোলানো হয় ব্যাগগুলি। তখনই দেখা যায় করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ও ভ্যাকসিন ভরা রয়েছে ওই ব্যগগুলিতে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তিন যুবককে।
ধৃতদের নাম ফিরোজ খান (৩০), ইমরান খান (২২) ও শুভম কুমার আনন্দ (২৩)। ফিরোজ ও ইমরান মণিপুরের বাসিন্দা হলেও শুভম বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, বিপুল সংখ্যক কোভিশিল্ড, করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভির সহ অন্যান্য ওষুধ গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মায়ানমারে। মণিপুরের মোরেহ সীমান্ত দিয়েই তা পাচার করে দেওয়া হত।
ওষুধ ও ভ্যাকসিন উদ্ধার হলেও অভিযুক্তরা এই বিপুল সংখ্যক ওষুধ ও ভ্যাকসিন কোথা থেকে জোগাড় করল এবং এই কাজের সঙ্গে বাকি কারা জড়িত রয়েছে, সে সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। জেরার জন্যই মঙ্গলবার আদালতে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয় এবং তা গ্রহণও করে নেওয়া হয়। ধৃতদের জেরা করে বড় পাচারচক্রের হদিশ মিলতে পারে বলেই সন্দেহ তদন্তকারীদের। আরও পড়ুন: কারাগারে নিশিযাপন করতে হল না কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে, প্রায় মধ্যরাতে জামিন পেলেন নারায়ণ