Hyderabad: হায়দরাবাদ কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার! অভিযুক্ত পাঁচজনের তিনজনই নাবালক
Hyderabad gangrape: হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনের তিনজনই নাবালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজনকে শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হল।
হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদে মার্সিডিজ় গাড়ির ভিতর গণধর্ষণের ঘটনায় এক অভিযুক্তদের একজনকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযুক্ত নাবালক। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। এর মধ্যে তিনজনই নাবালক। তাদেরই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি দুই প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তের নাম সাদউদ্দীন মল্লিক এবং ওমর খান। তবে এই ঘটনার সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জামাই জড়িত নয় বলেই দাবি পুলিশের। এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এক পদস্থ পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ‘নির্যাতিতা অপরাধীদের সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেনি। সে শুধুমাত্র একটি নাম প্রকাশ করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য অবিলম্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং নির্যাতিতার বক্তব্য অনুযায়ী আমরা পাঁচজন অপরাধীকে শনাক্ত করেছি’।
গত ২৮ মে সন্ধ্যায়, হায়দরাবাদ শহরের এক অভিজাত এলাকায় একটি মার্সিডিজ় গাড়ির ভিতরে এক ১৭ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ওই ৫ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ধর্ষিতা কিশোরীর বাবার করা অভিযোগ অনুযায়ী, ওই তরুণদের সঙ্গে শহরের একটি পাবে আলাপ হয়েছিল ওই কিশোরীর। পাবটির বাইরে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও, কিশোরীকে ওই অভিযুক্তদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তারা ওই তরুণীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে, এরপরই জুবিলি হিলস এলাকায় মার্সিডিজ় গাড়িটি দাঁড় করিয়ে, ওই কিশোরীকে তারা পালা করে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্য়েই গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গাড়ির মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের এক সূত্রের দাবি, গাড়িটি তেলেঙ্গনার এক বিধায়কের। তবে, ওই বিধায়কের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাঁর ছেলে গাড়ি থেকে নেমে একটি ক্যাফেতে বসে ছিল। সেই সময়ই ওই অপরাধের ঘটনা ঘটে। সে কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ওই সন্ধ্যায় ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে পাবটির কর্মচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রাথমিকভাবে পকসো আইনে একটি ‘শ্লীলতাহানির’ মামলা দায়ের করেছিল। নাবালিকার মেডিকেল পরীক্ষার পর গণধর্ষণের ধারা যুক্ত করা হয়। এর আগে পুলিশের এক সূত্র দাবি করেছিল, এক বিধায়কের ছেলে এই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। সন্ধ্যায় পুলিশ জানিয়েছে, অন্ধ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জামাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তবে, গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত এক ভিআইপির ছেলে বলে জানিয়েছেন হায়দরাবাদ ওয়েস্ট পুলিশের ডিসিপি জোয়েল ডেভিস।
তেলেঙ্গনার আইটি মন্ত্রী কেটি রামা রাও, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি, ডিজিপি এবং হায়দ্রাবাদ সিটি পুলিশ কমিশনারের কাছে, এই গণধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘অভিযুক্তরা সমাজের কোন অংশের মানুষ, তাদের সঙ্গে কোনও ভিআইপির যোগ আছে কিনা, এই ক্ষেত্রে সেইসব না দেখে সবাইকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে’। অন্যদিকে, তেলেঙ্গনা বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে এই ঘটনায় ওয়াকফ বোর্ডের এক আধিকারিকের ছেলে এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জামাই জড়িত। অভিযুক্ত পাঁচ জনেরই দ্রুত গ্রেফতারের দাবি তুলেছে তারা।