ফের পাকিস্তানের দিক থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, ৩ জঙ্গিকে নির্মূল করল সেনা

Kupwara infiltration bid foiled: নিহত জঙ্গিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে, তাদের কাছে যুদ্ধ করার মতো রসদ ছিল। শ্রীনগরে সেনাবাহিনীর চিনার কর্পস মোতায়েন থাকে। চিনার কর্পসই এই অভিযানের সম্পর্কে জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযান এখনও চলছে।

ফের পাকিস্তানের দিক থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, ৩ জঙ্গিকে নির্মূল করল সেনা
অতন্দ্র প্রহরী (ফাইল ছবি)Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2024 | 11:00 PM

শ্রীনগর: উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় জঙ্গি জমনে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। রবিবার (১৪ জুলাই) কুপওয়ারার কেরান সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একটি এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় অন্তত তিনজন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে চিনার কর্পস। নিহত জঙ্গিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে, তাদের কাছে যুদ্ধ করার মতো রসদ ছিল। শ্রীনগরে সেনাবাহিনীর চিনার কর্পস মোতায়েন থাকা। তারা এদিন এক্স-এ পোস্ট করেছে, “কেরান সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযানে ৩ সন্ত্রাসবাদীকে নির্মূল করা হয়েছে। অস্ত্র এবং অন্যান্য যুদ্ধের রসদ উদ্ধার করা হয়েছে।”

এই প্রতিবেদন প্রকাশ করার আগে পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযান এখনও চলছে। এদিন সকালেই জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করতে, কেরান সেক্টরে অপারেশন ‘ধনুশ-২’ শুরু করেছিল সেনা। তার আগে, ২৩ জুন, বারামুলা জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে উরি সেক্টরে, সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযানে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। আসলে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরে যেমন লাগাতার সন্ত্রাসবাদী হামলা চলছে, একই সঙ্গে পাকিস্তানের দিক থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা।

৮ জুলাই, জম্মুর কাঠুয়া জেলায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা। সেই ঘটনায় পাঁচ সেনা সদস্য শহিদ হয়েছিলেন এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছিলেন। ১২ জুন এবং ১৪ জুন, কাঠুয়ার হীরানগর এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। দুই সন্ত্রাসবাদীকেও নির্মূল করেছিল সেনা। তার আগে, ৯ জুন জম্মুর রিয়াসি জেলায় একটি বড় মাপের সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল। তীর্থযাত্রীদের বাসে গুলি চলে। তারপর বাসটি খাদে পড়ে গিয়েছিল। নয়জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। আরও বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন।