MP Syringe Incident: এক সিরিঞ্জ দিয়েই ৩০ পড়ুয়াকে করোনা টিকা! ধরা পড়তেই স্বাস্থ্যকর্মীর প্রশ্ন ‘আমার দোষ কোথায়?’

MP Syringe Incident: জিতেন্দ্র নামক ওই স্বাস্থ্যকর্মীর দাবি, কর্তৃপক্ষের তরফে একটিই সিরিঞ্জ পাঠানো হয়েছিল এবং বিভাগীয় প্রধানও নির্দেশ দিয়েছিলেন, সকল পড়ুয়াকেই যেন এই সিরিঞ্জ দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।

MP Syringe Incident: এক সিরিঞ্জ দিয়েই ৩০ পড়ুয়াকে করোনা টিকা! ধরা পড়তেই স্বাস্থ্যকর্মীর প্রশ্ন 'আমার দোষ কোথায়?'
অভিযক্ত স্বাস্থ্যকর্মী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2022 | 8:26 AM

ভোপাল: সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্যই ৯০-র দশক থেকেই নিয়ম চালু করা হয়েছিল যে, একটি সিরিঞ্জ একবারই ব্যবহার করা যাবে। তবে দুই দশক কেটে গেলেও, মানুষের মধ্যে যে সংক্রামক রোগ নিয়ে সচেতনতা তৈরি হয়নি, তার ফের প্রমাণ মিলল। ৩০ জন পড়ুয়াকে ভ্যাকসিন দেওয়া হল একটি সিরিঞ্জ দিয়েই। ঘটনাটি সামনে আসতেই স্বাস্থ্য়কর্মীর প্রশ্ন, “এতে আমার দোষটা কোথায়?”

বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের সাগর জেলায়। সেখানে জৈন পাবলিক হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়ুয়াদের করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি চলছিল। আচমকাই অভিভাবকদের নজরে আসে, একটি সিরিঞ্জ দিয়েই পরপর পড়ুয়াদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি টিকার জন্য আলাদা সিরিঞ্জ কেন ব্যবহার করছেন না, এই প্রশ্ন করতেই, নির্লিপ্তভাবে স্বাস্থ্যকর্মীর উত্তর, তাঁকে একটিই সিরিঞ্জ দেওয়া হয়েছে, তাই একটি সিরিঞ্জ দিয়েই সকলকে টিকা দিচ্ছেন তিনি।

জিতেন্দ্র নামক ওই স্বাস্থ্যকর্মীর দাবি, কর্তৃপক্ষের তরফে একটিই সিরিঞ্জ পাঠানো হয়েছিল এবং বিভাগীয় প্রধানও নির্দেশ দিয়েছিলেন, সকল পড়ুয়াকেই যেন এই সিরিঞ্জ দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। অভিভাবকদের করা ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ে জিতেন্দ্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, যারা তাঁকে একটি মাত্র সিরিঞ্জ দিয়ে গিয়েছে, তাদের নামও বলতে পারেননি।

অভিভাবকরা ওই অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে জানতে চান যে, তিনি কি জানেন এক সিরিঞ্জ মাত্র একবারই ব্যবহার করা উচিত। উত্তরে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি জানি। সেই কারণেই আমি ওনাদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে এক সিরিঞ্জ দিয়েই সকলকে টিকা দিতে হবে কি না, ওনারা হ্যাঁ বলেছিলেন। আমার ভুল কোথায় এখানে? আমায় যা বলা হয়েছে, তাই করেছি।”

বিষয়টি জানাজানি হতেই সাগর জেলা প্রশাসনের তরফে অভিযুক্ত টিকাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে গাফিলতি ও কেন্দ্রীয় সরকারের ‘এক সিরিঞ্জ, এক টিকা’ নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য। ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসকও সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পাঠান বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য। তবে সেখানে গিয়ে অভিযুক্ত জিতেন্দ্রের খোঁজ মেলেনি। তাঁর ফোনও সুইচ অফ আসছে। এদিকে, জেলা টিকাকরণ আধিকারিক ডঃ রাকেশ রোশনের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার তিনিই প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানোর দায়িত্বে ছিলেন।