Bridge Collapsed: নিম্নমানের সামগ্রী নাকি অবৈধ বালি খাদান? দু’বেলার বৃষ্টিতেই ভেঙে গেল সেতুর ৪টি পিলার
Bihar: স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অত্যন্ত নিম্ন মানের পণ্য দিয়ে সেতু তৈরি করা হয়েছিল। সেই কারণে সেতুটির পিলারগুলি ভেঙে পড়েছে। এছাড়া নদী থেকে, বিশেষ করে সেতুর পিলারের কাছ থেকে বেআইনিভাবে বালি খনন ও উত্তোলনের কারণেও সেতুর ভিত নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে।
পটনা: ভারী বৃষ্টি। আর তাতেই ধুয়ে গেল সেতুর একটা বড় অংশ। শনিবার বিহারের জামুই জেলায় ভেঙে পড়ল একটি সেতু। জানা গিয়েছে, বারনার নদীর উপরে সোনো চুরহেত সেতুটির ৪টি পিলার ভেঙে পড়ে। প্রশাসনের দাবি, ভারী বর্ষণের জেরেই এই বিপত্তি ঘটেছে। এদিকে সেতু ভেঙে পড়ার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন। এই নিয়ে বিগত কয়েক মাসে কমপক্ষে ৩টি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার দিনভর বৃষ্টির জেরে বারনার নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পায়। দুপুরে হঠাৎই সেতুর চারটি স্তম্ভ বা পিলার ভেঙে পড়ে। সোনো ব্লকের কমপক্ষে ১২টি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সদ দফতর থেকে। ওই সেতুর উপরে যান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
Bridge caved in #Jamui after two days of rain: 24 villages affected due to closure of operations, villagers said – sand was being lifted near the bridge.#Bihar #BridgeCaved #ClimateActionNow #Rainfall #hurricane #Storm #JamuiBridgeCaved@officecmbihar@TejashwiOffice@Jduonline pic.twitter.com/qa4kttfu6N
— Anchor Manish Kumar (@manishA20058305) September 23, 2023
সোনো ব্লকের ডেভেলপমেন্ট অফিসার রাজেশ কুমার বলেন, “সেতুর ৬ থেকে ১০ নম্বর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা মাইকে ঘোষণা করে সাধারণ মানুষকে অবগত করেছি। নদীতে জলস্ফীতির কারণে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপদ এড়াতে আপাতত সেতুর উপরে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ওখানে আধিকারিকরা ক্যাম্প করে রয়েছেন।”
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অত্যন্ত নিম্ন মানের পণ্য দিয়ে সেতু তৈরি করা হয়েছিল। সেই কারণে সেতুটির পিলারগুলি ভেঙে পড়েছে। এছাড়া নদী থেকে, বিশেষ করে সেতুর পিলারের কাছ থেকে বেআইনিভাবে বালি খনন ও উত্তোলনের কারণেও সেতুর ভিত নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। যেকোনও মুহূর্তেই বড় বিপদ হতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনকে এই বিষয়ে অবগত করা হলেও, সেই অভিযোগে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ জুন খাগারিয়া জেলাতেও ভাগলপুরের সঙ্গে সংযোগকারী একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ে। এরপরে গত ২৪ জুন কিষাণগঞ্জ জেলাতেও একটি সেতু ভেঙে পড়ে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতা নিখিল আনন্দ বলেন, “রাজ্য সরকারের উচিত সেতুগুলির উপরে নজর দেওযার। বিগত কয়েক বছর ধরে একের পর এক সেতু ভেঙে পড়ছে বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মূলত নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এটা হচ্ছে।”