Haryana Toxic Gas: আশেপাশে তখনও ঝাঁজালো গন্ধ, মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ৪ শ্রমিকের দেহ, কাজে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি

Haryana Toxic Gas: এক শ্রমিক ট্য়াঙ্কের ভিতরে নামেন পাইপটি সঠিকভাবে ট্যাঙ্কের ভিতরে রাখতে। কিন্তু সেখানে নামতেই বিষাক্ত গ্যাস নাকে এসে লাগে, সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি।

Haryana Toxic Gas: আশেপাশে তখনও ঝাঁজালো গন্ধ, মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ৪ শ্রমিকের দেহ, কাজে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি
ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 9:03 AM

চণ্ডীগঢ়: অন্ধ্র প্রদেশের গ্যাস লিকের বিভীষিকা এখনও কাটেনি। ফের গ্যাস লিকের দুর্ঘটনা ঘটল। অন্ধ্র প্রদেশের পর এবার হরিয়ানা। বুধবার হরিয়ানার ঝজ্জরে একটি আবর্জনা ফেলার ট্যাঙ্ক থেকে বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে বিপত্তি ঘটে। দুর্ঘটনায় কারখানার চারজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুইজন শ্রমিক। কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, হরিয়ানার ঝজ্জরের বাহাদুরগড়ের রোহাদ নামক গ্রামে অবস্থিত ওই কারখানা। গ্যাস কিট পেপার তৈরি করা হত ওই কারখানায়। বুধবার দুপুরে ওই কারখানার বর্জ্য ফেলার ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। ট্রাক্টরের সঙ্গে পাইপ লাগিয়ে বর্জ্য তোলা হচ্ছিল। এক শ্রমিক ট্য়াঙ্কের ভিতরে নামেন পাইপটি সঠিকভাবে ট্যাঙ্কের ভিতরে রাখতে। কিন্তু সেখানে নামতেই বিষাক্ত গ্যাস নাকে এসে লাগে, সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। সহকর্মীকে বর্জ্যের ট্যাঙ্কের মধ্যে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বাকি ৫ সহকর্মীরা তাঁকে তোলার জন্য ট্য়াঙ্কে নামেন।

ট্যাঙ্ক থেকে কোনওমতে ওই ছয়জন বের হতে পারলেও, ততক্ষণে শরীরে প্রবেশ করে গিয়েছে বিষাক্ত গ্য়াস। ওই কারখানার বাকি কর্মীরা তাদের অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি দুইজন বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঝাজ্জরের ডেপুটি কমিশনার ক্যাপ্টেন শক্তি সিং জানান, স্থানীয় প্রশাসনের তরফে শিল্পাঞ্চলে সুরক্ষা ও দমকল বিভাগকে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। কারখানার বাকি কর্মীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ওই ট্যাঙ্কে কারখানার যাবতীয় বর্জ্য় ও রাসায়নিক তরল বর্জ্য ফেলা হত। দীর্ঘদিন ধরে ট্যাঙ্কের মুখ বন্ধ ছিল। বুধবার ওই শ্রমিকেরা ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নামলে বিষাক্ত গ্যাস তাদের নাকে যায় এবং বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হয়। অসুস্থ দুইজন শ্রমিকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে। কেন কারখানার  কর্মীদের দিয়েই ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করানো হচ্ছিল, তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।