Earthquake: ‘মনে হল পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে’, মধ্য রাতে নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ঘরছাড়া দিল্লিবাসীও!

Nepal Earthquake: প্রায় ১০ সেকেন্ড ধরে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। দিল্লির পাশাপাশি নয়ডা ও গুরুগ্রামেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Earthquake: 'মনে হল পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে', মধ্য রাতে নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ঘরছাড়া দিল্লিবাসীও!
আতঙ্কিত দিল্লিবাসী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2022 | 7:31 AM

নয়া দিল্লি: ঘড়ির কাটায় তখন রাত দুটো। হঠাৎ কাঁপতে শুরু করল খাট, মেঝেতে পা রাখতেই মনে হল গোটা পৃথিবীই যেন দুলছে। মাঝরাতে এমনই ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি। জানা গিয়েছে, দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলে মঙ্গলবার গভীর রাতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৩। তবে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভারতে নয়, প্রতিবেশী নেপালে ছিল। সেখানের ভূমিকম্পের জেরেই দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলেও কম্পন অনুভূত হয়। দিল্লির পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ, বিহার, মণিপুরেও কম্পন অনুভূত হয়।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পরপর দুইবার ভূমিকম্প অনুভূত হয় দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলে।প্রথমবার রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। দ্বিতীয়বার কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৯। পরপর দুইবার ভূমিকম্প অনুভূত হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দিল্লিবাসী। বহু মানুষই মধ্য রাতে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ সেকেন্ড ধরে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। দিল্লির পাশাপাশি নয়ডা ও গুরুগ্রামেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল।

পাঁচ ঘণ্টায় এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্প হল নেপালে। মঙ্গলবার সকালেও কেঁপে উঠেছিল নেপাল, সেই সময় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৫। সেই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল কাঠমাণ্ডু থেকে ১৫৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। যদিও ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তরফে এই কম্পনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এরপরে রাত ৯টা নাগাদও ফের একবার কম্পন অনুভূত হয়। সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৯। এর পাঁচ ঘণ্টা পরেই মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ ফের কম্পন হয়। এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল সবথেকে বেশি।  তবে এখনও অবধি ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির কোনও খবর মেলেনি।

দিল্লিতেও কম্পনের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে নিমেষে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নেন। তবে দিল্লিতেও ক্ষয়-ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি।