Rajiv Gandhi Assassination Case: ‘স্বামী-সন্তান নিয়ে এক নতুন জীবন’, তিন দশক পর খোলা আকাশের নীচে নলিনী

Rajiv Gandhi Assassination Case: সুপ্রিম নির্দেশে ছাড়া পেলেন রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্তরা। নলিনী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বলেছেন, ''আমার স্বামী-সন্তানের সঙ্গে এটা নতুন জীবন শুরু হল।'

Rajiv Gandhi Assassination Case: 'স্বামী-সন্তান নিয়ে এক নতুন জীবন', তিন দশক পর খোলা আকাশের নীচে নলিনী
ছবি সৌজন্যে: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 13, 2022 | 12:38 AM

ভেল্লোর: দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর(Rajiv Gandhi) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মুক্তির আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। গতকাল দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে এই নির্দেশ দেওয়ার পর শনিবার সন্ধেবেলা ছাড়া পেল নলিনী শ্রীহরণ, তার স্বামী মুরুগান ও সন্থান।

সবরকম নিয়ম নীতি মেটোনার পর তাদের এদিন ছাড়া হয়েছে। এদিকে নলিনী আজ সকালেই স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে হাজিরা দেন। জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর তিনি বলেছেন, ‘আমার স্বামী-সন্তানের সঙ্গে এটা নতুন জীবন। আমাকে সমর্থন করার জন্য তামিলদের ধন্যবাদ।’ তিনি রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট রাজীব গান্ধী হত্যা মামলয় সপ্তম দোষীকে মুক্তি দিয়েছিল। সেই একই অধিকার প্রয়োগ করে এই মামলায় বাকি দোষীদের মুক্তি দিল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভা দোষীদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে রাজ্যপালের কাছে আবেদন করেছিল।

রাজীব গান্ধীর হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত সাতজনের মুক্তির জন্য় একাধিকবার আবেদন জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও সামগ্রিকভাবে কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়নি। এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সহমত কংগ্রেস। একাধিক কংগ্রেস নেতা রাজীব গান্ধীর দোষীদের মুক্তি মেনে নিতে পারেননি। সর্বোপরি এটা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকারক বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরে এক নির্বাচনী প্রচার সভায় এক মহিলার আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। সেই হামলায় লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ঈলম (LTTE)-র হাত ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় ২৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এবং মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল। তারপর সুপ্রিম কোর্টে চারজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছিল এবং বাকিদের কারাবাস দেওয়া হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ড বহাল ছিল নলিনী, সন্থান ও শ্রীহরণের। ২০১৪ সালের তাদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এবার তাদের মুক্তি দেওয়া হল।