Delhi Assault: ঘুমন্ত অবস্থায় নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর গলা কেটে খুন, গ্রেফতার অভিযুক্ত

Delhi Police: পুলিশের ডেপুটি কমিশনার শ্বেতা চৌহান জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর অপরাধীর খোঁজে নামে প্রায় ৫০ সদস্যের একটি দল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও কোনও সূত্র মেলেনি।

Delhi Assault: ঘুমন্ত অবস্থায় নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর গলা কেটে খুন, গ্রেফতার অভিযুক্ত
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2022 | 9:12 AM

নয়া দিল্লি: সোমবার ৩৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ৮ বছর বয়সী এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মধ্য দিল্লির যমুনা খাদার এলাকাতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধৃত ব্যক্তি পেশায় কসাই বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকাকে ধর্ষণের পর তাঁকে খুন করার সময় তাঁর গলা কেটে দিয়েছে ওই ব্যক্তি, এমনকী ওই নাবালিক মুখ বিকৃত করার অভিযোগও উঠেছে ধৃতের বিরুদ্ধে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি আদতে বিহারের বাসিন্দা। কাজের খোঁজে ২০ বছর আগে তিনি দিল্লিতে এসেছিলেন। তুর্কমান গেট এলাকায় কসাই হিসেবে তিনি কাজ করতেন। পুলিশ জানিয়েছেন, ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিয়মিত মাদক সেবন করত, এমনকী গাঁজাও খেত।

৪ অগস্ট রাতে দরিয়াগঞ্জ এলাকার এক বাসিন্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর স্ত্রী ও চার সন্তানের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিলেন। ভোর ৪টে নাগাদ ঘুম ভাঙতেই তাঁর মেয়েকে তিনি বাড়িতে দেখতে পাননি। আশেপাশে এলাকায় খোঁজ করার পর থানায় অপহরণে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ১৮ অগস্ট ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় যমুনা খদর এলাকা থেকে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন ও পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ।

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার শ্বেতা চৌহান জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর অপরাধীর খোঁজে নামে প্রায় ৫০ সদস্যের একটি দল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও কোনও সূত্র মেলেনি। অপরাধীর সন্ধানে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। শ্বেতা বলেন, “বিশেষ সূত্রে আমরা জানতে পারি ধৃত ব্যক্তি বেশ কিছু দিন ধরেই চকোলেট ও অন্যান্য জিনিস দিয়ে ও নাবালিকার সঙ্গে সু-সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। তাঁকে খুঁজে বের করে জেরা করা হয়েছিল। জেরার মুখে তিনি সবটা স্বীকার করেছেন।” তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে নাবালিকার মায়েরও শারীরিক সম্পর্ক ছিল।

ঘটনার দিন নির্যাতিতার বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে গাঁজা খেয়েছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি। বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়লে ভিতরে ঢুকে নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তাঁর গলা কেটে তাঁকে খুন করে অভিযুক্ত। যে ছুরি দিয়ে নাবালিকাকে হত্যা করা হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে পুলিশ।