Rahul Gandhi: রাহুল গান্ধী সভাপতি না হলে অনেকে বাড়িতে বসে যাবেন: গেহলট
Congress: রাহুলকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করার জন্য দলে যে কোনও দ্বিমত নেই, সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।
জয়পুর: সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনের কাউন্টডাউন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি পদে কি গান্ধী পরিবারের কেউ থাকবে? না অ-গান্ধী কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, এই নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। কংগ্রেস সভাপতি পদ নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট। তিনি জানিয়েছেন, দল সভাপতি পদে ‘সর্বসম্মতভাবে’ রাহুল গান্ধীকে মেনে নিতে প্রস্তুত। দলের নির্বাচনের কমিটি জানিয়েছে, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন সভাপতি নির্বাচনের কাজ শেষ করতে হবে। গেহলটের মতে, গোটা দেশে সর্বস্তরের কংগ্রেস কর্মীদের কথা মাথায় রেখে রাহুল গান্ধীর এই দায়িত্ব নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “যদি রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি না হন, তবে তা সর্বস্তরের কংগ্রেস কর্মীদের কাছে অত্যন্ত হতাশাজনক হবে। অনেকেই বাড়িতে বসে যাবেন। দেশের কংগ্রেসী মনোভাবাপন্ন মানুষদের কথা ভেবে রাহুলের নিজেরই এই পদ গ্রহণ করা উচিত।”
রাহুলকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করার জন্য দলে যে কোনও দ্বিমত নেই, সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সর্বসম্মতিক্রমে দল রাহুলের সভাপতিত্বের পক্ষে। তাই আমার মনে তাঁর এই পদ গ্রহণ করা উচিত। এখানে গান্ধী বা অ-গান্ধীর কোনও ব্যাপার নেই, এটা সাংগঠিক বিষয় এবং প্রধানমন্ত্রিত্বেরও কোনও বিষয় নেই।” কংগ্রেস সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরে কারও দায়িত্ব নেওয়া উচিৎ, এই নিয়ে যখন বিস্তর আলোচনা চলছে, তখন সনিয়া-রাহুলদের হয়েই ব্যাট ধরেছেন গেহলট। তিনি বলেন, “বিগত ৩২ বছরে এই পরিবার থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রী হননি। তাসত্ত্বেও কেন মোদীজি এই পরিবারকে এত ভয় পান? কারণ স্বাধীনতার আগে ও পরে দেশ ও কংগ্রেস দলে ডিএনএ-তে কোনও বদল হয়নি। কংগ্রেস সব ধর্ম ও জাতিকে নিয়ে একসঙ্গে চলতে পারে। ৭৫ বছর ধরে কংগ্রেস দেশের গণতন্ত্র বজায় রেখেছে।”
২০২৩ সালে আসন্ন রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয় নিয়েও আশাবাদী গেহলট। তিনি বলেন, “আমার নিশ্চিতভাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হব এবং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও জিতব। এইবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য খেলাটা অত সহজ হবে না। যেভাবে নীতীশ কুমার বিহারে বিজেপিকে ধাক্কা দিয়েছেন এবং যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের প্রতিবাদে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস পথে নেমেছে, তাতে মোদী সরকার কেঁপে গিয়েছে।”