Rajasthan: চোখ দুটো ঠিকরে বেরিয়ে আসছে, মুখটা পুরো থেঁতলানো! চিপস নিতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি কিশোরীর

Crime News: পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট আনন্দ শর্মা জানান, মৃত কিশোরী নায়ক সম্প্রদায়ের। গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল। পুলিশ খোঁজ-খবর শুরু করলে জানা যায়, তাঁকে শেষবার এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। ওই ব্যক্তি তাঁর জন্য চিপস কিনছিল।

Rajasthan: চোখ দুটো ঠিকরে বেরিয়ে আসছে, মুখটা পুরো থেঁতলানো! চিপস নিতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি কিশোরীর
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2022 | 7:11 AM

জয়পুর: বাড়ি থেকে খেলতে বেরিয়েছিল, তারপরই বেপাত্তা নয় বছরের মেয়ে। দিনমজুর বাবা কাজ থেকে ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়েই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন, কিন্তু কোথাও পাননি মেয়েকে। প্রতিবেশীরাও খোঁজা শুরু করেন তখন। বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। একদিন পর অবশেষে খোঁজ মিলল মেয়ের। তবে জীবিত নয়, নিথর অবস্থায় উদ্ধার হল ওই কিশোরী। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ইট দিয়ে আঘাতও করা হয়। বুধবারই ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায়।

পুলিশের তরফে জানানো হয়, মঙ্গলবারই নয় বছরের ওই কিশোরীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর মেলে। এরপরই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। বুধবার ওই কিশোরীর বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে কিশোরীকে। মৃত্য়ু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতও করা হয়েছে। খুনের আগে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, তা এখনও জানা যায়নি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, সেই রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট আনন্দ শর্মা জানান, মৃত কিশোরী নায়ক সম্প্রদায়ের। গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল। পুলিশ খোঁজ-খবর শুরু করলে জানা যায়, তাঁকে শেষবার এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। ওই ব্যক্তি তাঁর জন্য চিপস কিনছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশের অনুমান, খুনী ওই কিশোরীর পূর্ব পরিচিত। চিপসের লোভ দেখিয়েই তাঁকে অপহরণ ও পরে খুন করে অভিযুক্ত।

পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রথমে ওই কিশোরীর গলায় কাপড়ের টুকরো জড়িয়ে শ্বাসরোধ করা হয়। এরপর ইট দিয়ে একাধিকবার মাথায় আঘাত করা হয়। খুনের আগে কিশোরী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল কি না, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে।