AAP: কেরলের উপনির্বাচনেও আপের প্রার্থী! ইন্ডিয়া জোটের আসন রফায় বড় কাঁটা হতে চলেছে কেজরীবাল?
INDIA: আপ-এর এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন ইন্ডিয়া জোটের আসন রফায় প্রভাব ফেলবে, তেমনই এনডিএ তথা বিজেপির উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। কেননা ইতিমধ্যে গুজরাট ও রাজস্থানে বিজেপিকে লড়াই দিয়েছে আপ।
কোত্তায়াম: মাস কয়েক আগেই জাতীয় দলের তকমা পেয়েছে। এবার সারা দেশে সংগঠনের শাখা বিস্তার করতে শুরু করল অরবিন্দ কেজরীবালের দল, আম আদমি পার্টি (AAP)। উপ-নির্বাচনের মধ্য দিয়েই কেরলে অস্তিত্ব বিস্তার করতে মরিয়া আপ। কেরলের কোত্তায়াম জেলার পুথুপল্লি কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে তারা। বর্তমান পরিস্থিতিতে আপ-এর এই পদক্ষেপ যে ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA) জোটে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াল, তা বলা বাহুল্য।
কেন্দ্র থেকে এনডিএ-কে উৎখাত করতে জাতীয় রাজনীতিতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক হয়েছে আম আদমি পার্টি। সম্প্রতি মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে দলের প্রচার কমিটি, কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করে জোটকে আরও সঙ্ঘবদ্ধ করে তোলার প্রয়াস শুরু হয়েছে। শীঘ্রই আসন রফা নিয়ে আলোচনা হবে বলে বৈঠকের শেষে জানিয়েছেন জোট-সদস্যরা। অর্থাৎ যে রাজ্যে যে সমস্ত আঞ্চলিক দল রয়েছে, তাদের মধ্যে গুরুত্বের বিচারে ইন্ডিয়া-র শরিকদের আসন নির্ধারণ করা হবে। সেক্ষেত্রে এবার কেরলে আপ যেভাবে অস্তিত্ব বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছে, সেখানে বাম, কংগ্রেসের সঙ্গে আপও আসন কাটাকুটিতে ভাগ বসাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কেরলে আপ-এর সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে প্রথম কেরলে শাখা বিস্তার করে কেজরীবালের দল। সংগঠন শক্তিশালী করতে রাজ্য আহ্বায়কের পদে বসানো হয় এক প্রাক্তন আইএএস আধিকারিককে। তারপর ২০২১ সালে কেরল বিধানসভা নির্বাচনে ১২টি আসনে প্রার্থী দেয় আপ। যদিও একটি আসনও তাদের ঝুলিতে আসেনি। তবে হার মানতে নারাজ কেজরীবাল। তাই শোচনীয় পরাজয়ের পরেও ২০২৬ সালে ফের কেরলের বিধানসভা নির্বাচনে পুনরায় প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করে আম আদমি পার্টি। এর মধ্যে একটি কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন স্থির হওয়ায় সেই সুযোগও ছাড়তে নারাজ তারা।
আপ-এর এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন ইন্ডিয়া জোটের আসন রফায় প্রভাব ফেলবে, তেমনই এনডিএ তথা বিজেপির উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। কেননা ইতিমধ্যে গুজরাট ও রাজস্থানে বিজেপিকে লড়াই দিয়েছে আপ। গুজরাটে শাখা বিস্তার করার ৫ বছরের মধ্যেই গত বছর ১৮২টি আসনের মধ্যে ৫টি আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। আবার রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনেও ৩টি আসনে জয় পেয়েছে আপ। এবার বাম-অধ্যুষিত কেরলের ভোটে আপ যদি প্রভাব ফেলতে পারে, তাহলে বাম-কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপিরও উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক।