Congress President Polls : দলের নীতি মেনেই বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা খাড়্গের
Congress President Polls : কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তারপর এদিন সনিয়া গান্ধীর কাছে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন খাড়্গে।
নয়া দিল্লি : কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। এদিকে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এদিন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। তাই কংগ্রেসের ‘এক ব্যক্তি,এক পদ’ নীতি মেনেই এই পদক্ষেপ খাড়্গের।
গত এপ্রিল মাসে রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি গৃহীত হয়। এই নীতি অনুযায়ী কোনও এক দলীয় নেতা দুটি সাংগঠনিক পদে থাকতে পারবেন না। সম্প্রতি কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন ঘিরে এই নীতি নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়। সভাপতি নির্বাচনে গান্ধীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও তাঁদের পছন্দের প্রার্থী ছিল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কিন্তু তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি হলেও একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকতে চান। তবে রাহুল গান্ধী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, একইসঙ্গে দুটি পদে বহাল থাকা যাবে না। এই নিয়ে রাজস্থান কংগ্রেসে বিস্তর জলঘোলা হয়। রাজস্থান কংগ্রেসের দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে আসে। তারপর সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে যান অশোক গেহলট। এবার সেই নীতি মেনেই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
প্রসঙ্গত, মল্লিকার্জুন খাড়্গে সভাপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরই তাঁর বিরোধী দলনেতার পর থেকে ইস্তফা দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়। আগেই এক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছিলেন, খাড়্গে সভাপতি নির্বাচিত হলে রাজ্যসভায় কংগ্রেস নতুন বিরোধী দলনেতা আনবে। তবে ১৯ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হলেই বিরোধী দলনেতার পদে খাড়্গের উত্তরসূরি বেছে নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই জল্পনাই সত্যি হল মনোনয়ন জমা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা দিলেন বর্ষীয়ান নেতা। এদিকে রাজ্যসভায় পরবর্তী বিরোধী দলনেতা হিসেবে দিগ্বিজয় সিং, মুকুল ওয়াসনিক বা রঞ্জিত রঞ্জনের মধ্যে যে কেউ এই পদের অধিকারী হতে পারেন বলে জানিয়েছেন ওই কংগ্রেস নেতা।