Adani Hindenburg Row: ২০১৬-র তদন্তের সঙ্গে ২০২১-এ সংসদে মন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও যোগ নেই, আদানি মামলায় জানাল SEBI
Supreme Court of India: হলফনামায় সেবির তরফে আরও জানানো হয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ২০১৬ সাল থেকে তদন্ত করার যে দাবি করা হয়েছিল মামলাকারীদের তরফে, সেই দাবিও ভুল।
নয়া দিল্লি: আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলায় সাফাই সেবি(SEBI)-র। বুধবার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (Securities & Exchange Board of India), যা সংক্ষেপে সেবি নামে পরিচিত, তার তরফে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা জমা দিয়ে ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যের সাফাই দেওয়া হল। হলফনামায় সেবির তরফে জানানো হয়, ২০১৬ সালে সেবি আদানি গোষ্ঠী সহ ৫১টি ভারতীয় সংস্থার বিরুদ্ধে যে তদন্ত করেছিল, তার সঙ্গে ২০২১ সালে সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী (Pankaj Choudhury) যে মন্তব্য করেছিলেন, তার কোনও যোগাযোগ নেই।
বুধবার শীর্ষ আদালতে সেবির তরফে জানানো হয়, সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিনিমাম পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং-র নিয়ম অনুসরণ না করা এবং ক্রমাগত নিয়ম উলঙ্ঘনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বক্তব্য রেখেছিলেন। ওই তদন্ত ২০১৬ সালে নয়, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয়েছিল।
হলফনামায় সেবির তরফে আরও জানানো হয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ২০১৬ সাল থেকে তদন্ত করার যে দাবি করা হয়েছিল মামলাকারীদের তরফে, সেই দাবি ভুল।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকেই আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে, এই দাবি সামনে আসার পর থেকেই আলোড়ন পড়ে যায়। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র থেকে শুরু করে একাধিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব ২০২১ সালে সংসদে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরীর বিবৃতি তুলে ধরে দাবি করেন যে ২০১৬ সাল থেকেই সেবি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল।
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল, সেই তদন্ত জারি রাখার জন্য় ৬ মাস সময় চায় সেবি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের তরফে ৩ মাস সময় দেওয়া হয়। তদন্তের জন্য সেবির অতিরিক্ত সময় চাওয়ার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি নরসিমহার বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “তদন্তের জন্য অনন্তকাল সময় নিতে পারে না সেবি। অগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই মামলাটি নথিভুক্ত করা হবে। তার মধ্যে সেবিকে তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে।”