ISRO’s Next Project: আকাশই শেষ সীমা নয়! চন্দ্রাভিযানের পর আর কী কী প্রকল্প রয়েছে ইসরোর ঝুলিতে?
ISRO: রাশিয়া, আমেরিকার মতো মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতেরও। সেই লক্ষ্যেই গগনায়ন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকেই ‘গগনায়ন’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

নয়া দিল্লি: চাঁদকে ছোঁয়ার স্বপ্ন ব্যর্থ হয়েছিল আগে একবার। তাও হাল ছাড়েনি ইসরো (ISRO)। ২০১৯ সালের পর আবার ২০২৩ সালে চন্দ্রাভিযানে নেমেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। চন্দ্রযান-২ এর পর চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। সাফল্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩। আজ, বুধবার সন্ধেয় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩। এই অভিযান ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আগামিদিনে আরও অনেক অভিযান সাজানো রয়েছে ইসরোর। কথায় আছে “স্কাই ইজ দ্য লিমিট”। তবে ইসরোর লক্ষ্য, আকাশ ছাড়িয়েও আরও অনেক বড় জায়গায় পৌঁছনোর। সেই লক্ষ্যেই গগনায়ন থেকে শুরু করে আদিত্য এল-১, জাক্সা(JAXA)- একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কাজে নেমেছে ইসরো।
ইসরোর পরবর্তী প্রকল্প-
গগনযান-
রাশিয়া, আমেরিকার মতো মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতেরও। সেই লক্ষ্যেই গগনায়ন (Gaganyaan) প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকেই ‘গগনযান’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইসরোর ইতিহাসে এটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মিশন বা প্রকল্প হতে চলেছে। তিন ধাপে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। প্রথম দুই ধাপে মানবিহীন মহাকাশযান পাঠানো হবে। প্রথম ধাপে সাফল্য মিললে, দ্বিতীয় ধাপে মহাকাশযানে রোবট পাঠানো হবে। এই রোবটের নাম ‘ব্যোম মিত্র’।
এই দুই ধাপে সাফল্য মিললে, শেষ ভাগে তিনজন মহাকাশচারী পাঠানো হতে পারে। ২০২৪ সালের গোড়ার দিকেই এই অভিযান শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। ভারতের ‘গগনায়ন’ অভিযানের জন্য ইতিমধ্যেই ভারতীয় বিমানবাহিনীর চার জন পাইলটকে প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘রসকসমস’-এ তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মহাকাশে যাওয়ার জন্য বিশেষ স্পেস স্যুটও তৈরি করার বরাত দিয়েছে ইসরো।
এই অভিযান ১০০ শতাংশই ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র অধীনে হতে চলেছে। সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে শুরু করে মডিউল কনফিগারেশনস ক্রু এসকেপ সিস্টেম, অরবিটাল মডিউল- সমস্ত কিছুই ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হবে। গগনায়ন মিশনে যুক্ত থাকবে ভারতীয় সেনা বাহিনী, নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী, শিপিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট, ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনও। এই প্রকল্পের বাজেট ৯ হাজার ২৩ কোটি টাকা।
লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন-
জাপানের সঙ্গে সহযোগিতায় হতে চলেছে ইসরোর পরবর্তী চন্দ্রাভিযান। জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি বা জাক্সা ও ইসরোর মিলিত উদ্যোগে লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন পরিচালিত হবে। লুপেক্স মিশনের জন্য রোভার ও ল্যান্ডারও তৈরি করা হচ্ছে দুই দেশের সহযোগিতায়। নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশও থাকবে। চাঁদে জলের অস্তিত্বের পাশাপাশি যান চলাচল ও রাত্রিযাপন সম্ভব কি না, তাই-ই খুঁজে বের করা এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
আদিত্য- এল১-
শুধু চাঁদই নয়, সূর্য নিয়েও গবেষণা করতে চায় ইসরো। সেই লক্ষ্যেই আদিত্য-এল১ স্যাটেলাইট পাঠাতে চলেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এই কৃত্রিম উপগ্রহ সূর্যের ল্যাগরানগিয়ান পয়েন্ট-১ এর কাছে ফাঁপা কক্ষপথে অবস্থান করবে। এরফলে সূর্য গ্রহণ ছাড়াই যাবতীয় গবেষণা করা যাবে। করোনা সংক্রমণের জন্য এই প্রকল্প পিছিয়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালে তা পাঠানো হয়। ৩৭৮.৫৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল এই প্রকল্পের জন্য।
মঙ্গলায়ন-২:
শুক্র মিশন-





