AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘চিন বুঝে গিয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় যুদ্ধ শেখা এখনও অনেক বাকি’

বিপিন রাওয়াতের দাবি, চিনের সৈন্যরা আসে সমতল থেকে, পাহাড়ে লড়াই মতো ট্রেনিং থাকে না তাদের।

'চিন বুঝে গিয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় যুদ্ধ শেখা এখনও অনেক বাকি'
ফাইল ছবি
| Updated on: Jun 23, 2021 | 11:01 AM
Share

নয়া দিল্লি: পার্বত্য এলাকায় লড়াইতে সুনাম আছে ভারতীয় সেনার। চিনের সঙ্গে সেই দুর্গম অঞ্চলেই সংঘর্ষ হয় চিনের। আর তারপরই চিন বুঝে গিয়েছে যে পাহাড়ে ভারতের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। এমনটাই মন্তব্য করলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তাঁর দাবি, গালোয়ানে সংঘর্ষের পর চিন বুঝে গিয়েছে যে ওদের সেনাবাহিনীর আরও অনেক প্রস্তুতি ও ট্রেনিং দরকার।

এক সাক্ষাৎকারে বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘চিনের সেনাবাহিনীর পাহাড়ে যুদ্ধের তেমন অভিজ্ঞতা নেই। ওদের সাধারণত কম সময়ের জন্য ওই সব অঞ্চলে আনা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘গালোয়ানের সংঘর্ষের পর ভারতের সীমান্তে যুদ্ধ কৌশলে বদল এনেছে চিন। তাঁরা বুঝে গিয়ে্যচে যে তাঁদের আরও বেশি ট্রেনিং দরকার।’ বিপিন রাওয়াত উল্লেখ করেছেন, চিনের সেনা সাধারণত আসে সমতল এলাকা থেকে। তাই তাদের এই সব এলাকায় যুদ্ধ করার খুব বেশিদিনের অভিজ্ঞতা থাকে না।

তিব্বত সংলগ্ন এলাকায় যে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল রয়েছে, সেখানে প্রতিনিয়ত মোতায়েন থাকে ভারতীয় সেনা। পাশাপাশি, ভারতীয় জওয়ানদের পার্বত্য যুদ্ধের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয়। তাই এই এলাকায় ভারতীয় সেনাকে টেক্কা দেওয়া কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন বিপিন রাওয়াত। তবে চিন সীমান্তে ভারত সদাসর্বতা কড়া নজর রেখেছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, চিন যে ভাবে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে সে কথা মাথায় রেখে সীমান্তে সৈন্য সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছে চিন।

আরও পড়ুন: নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্টে বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করোনা, সত্যিই কি প্রয়োজন কোভিড বুস্টারের?

অন্য দিকে, চিন সীমান্ত থেকে সেনা সরাচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দুই দেশই অধিক সংখ্যক মোতায়েন না করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু চিন তাদের দেওয়া কথা রাখছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তিনি জানিয়েছেন, লাদাখের একেবারে কাছে এখনও সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চিন। চিনের এই প্রবণতাই দুই দেশের সম্পর্কের মুখে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।